Kangchenjunga: কোথায় সাদা চূড়া, এটাই কি সবার চেনা কাঞ্চনজঙ্ঘা? এই ছবি দেখে ভয় পেতেই হবে…
Kangchenjunga Peak: ৩০ মে গ্যাংটক থেকে এক পাহাড় বিশেষজ্ঞের তোলা ছবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তিনি যে ছবি ও ভিডিয়োটি দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গে বরফের শুধু কয়েকটি রেখা দেখা যাচ্ছে।

কলকাতা: বাঙালির তিন-চারদিন ছুটি পেলেই মন টানে পাহাড়। আর পাহাড়ে গেলেন, অথচ কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পেলেন না, তাহলে তো পাহাড় যাওয়াই বৃথা। তবে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা আর দেখা যাবে কি না, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হচ্ছে। ভয়, উদ্বেগের ছবি দেখা গেল আজ। ছবি দেখে প্রশ্ন জাগবে, এটা কাঞ্চনজঙ্ঘা না কালোপাহাড়?
ভয় ধরানোর মতো ছবি কাঞ্চনজঙ্ঘার। হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ যেখানে আগে সারা বছরই বরফে মোড়া থাকত, সেই কাঞ্চনজঙ্ঘায় বরফ নেই বললেই চলে, দেখা যাচ্ছে শুধুই কালো পাথর!
শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার এ কী হাল? বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। সেখানে কি না বরফের আকাল! আজ, ৩০ মে গ্যাংটক থেকে এক পাহাড় বিশেষজ্ঞের তোলা ছবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তিনি যে ছবি ও ভিডিয়োটি দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গে বরফের শুধু কয়েকটি রেখা দেখা যাচ্ছে। বাকি পুরো অংশেই কালো পাথর দেখা যাচ্ছে। তাহলে কি কাঞ্চনজঙ্ঘার সব বরফ গলে গেল?
বিশেষজ্ঞের কথায়, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরেই দ্রুত গলছে বরফ। এভাবে চললে পাহাড়ি নদীর জলে টান পড়বে। উত্তরবঙ্গ ও লাগোয়া সমতলের জলের অন্যতম উৎস এই নদীগুলি। জল কমে গেলে মহাবিপাকে পড়বেন পাহাড়-সমতলের মানুষ।
বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে অনেকদিন ধরেই সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে তা আর উদ্বেগে সীমাবদ্ধ থাকছে না। কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো এত উচ্চতাতেও যদি বরফ গলে যায়, তবে আগামিদিনে পরিস্থিতি কী হতে চলেছে, তা শুধু উদ্বেগ নয়, ভয়েরও বটে।

