দীক্ষা ভূইঁয়া: টিকা জালিয়াত কাণ্ডের মূল চক্রী দেবাঞ্জন দেবের নেটওয়ার্ক কত দূর? এবার সেই জট ছাড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা। কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে (Kasba Fake Vaccination Camp) অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় পুলিশ। দায়ের হয়েছে আরও তিনটি অভিযোগ। ভুয়ো সংস্থার কর্মীদের টিকাকরণের নাম করে দেবাঞ্জন একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে একটি ফার্মা সংস্থার কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবাঞ্জনের (Debanjan Deb) বিরুদ্ধে। স্টেডিয়াম তৈরির নামে এক ঠিকাদারের কাছ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
দেবাঞ্জন যে ভুয়ো ক্যাম্পগুলি করেছিলেন, সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া কর্পোরেশনের কাগজগুলি ‘আসল’। তাতে পুরসভার হলমার্কও চোখে দেখে মনে হবে আসল। হবুহু কীভাবে এমনটা নকল করলেন দেবাঞ্জন? তাতে প্রশ্ম উঠছে, আসল নথি-কাগজের কপি কি কেউ দেবাঞ্জনের কাছে পাঠিয়ে দিতেন? তদন্তকারীরা মনে করছেন এর পিছনে বড় কোনও মাথাই কাজ করছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, দেবাঞ্জনের একার পক্ষে এসব করা সম্ভব নয়।
সিট জানতে পেরেছে, স্পোর্টস অ্যাকাডেমির পাশাপাশি দেবাঞ্জনের স্মার্ট অনলাইন ক্লাস তৈরি করারও একটা পরিকল্পনা করেছিলেন। বেহালার একটি কোম্পানির কাছ থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার সামগ্রী কিনেছিলেন। যার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছিলেন।
কোম্পানি জানাচ্ছে, দেবাঞ্জনের টিম আরও একটি নতুন প্রোজেক্ট হাতে নিতে চাইছিল। বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে অনলাইন স্মার্ট ক্লাস শুরু করতে চেয়েছিলেন দেবাঞ্জন। তদন্তে জানা গিয়েছে, এন্টালির একটি সংস্থার কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। ও তাদের সংস্থার ১৭২ জনকে টিকা দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। দেবাঞ্জনের প্রতারণার জাল আরও বিস্তৃত বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।