Mukul Roy: ‘নিজের বিবেককে প্রশ্ন করেছেন কোনওদিন?’ এবার সরাসরি হাজার হাজার মানুষের শ্লেষের সম্মুখীন মুকুল
মুকুলকে (Mukul Roy) কেউ আক্রমণ করেছেন, কারও বক্তব্যে শ্লেষ রয়েছে। কেউ বা খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি ছাড়া নিয়ে, আবার কারও মতে ছেলের ইন্দ্রিয় সুখের জন্য দল বদলানো, কেউ বা মীরজাফর, গদ্দার বলছেন।
মুকুল রায় এখন বিজেপি অন্দরে সবচেয়ে বড় কাঁটা! একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে যখন ঢালাও দলবদলের মরসুম চলছিল, তখন মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাননি। তিন বছর আগে তিনি যখন গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান, তখন বাংলায় বিজেপি ২০১৯ এর সাফল্য দেখেনি। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ভেবেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, ভোট বুঝদার-দক্ষ সংগঠককে দলে নিলে লাভ বিস্তর। কিন্তু বিষয়টা উল্টে যায়।
কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপির টিকিটে জেতার পর থেকেই দলের সঙ্গে মুকুল রায়ের দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। কেন তা আঁচ করতে পারেন না বিশ্লেষকরাও। অনেকেই ভাবেন ছেলে শুভ্রাংশু রাজনৈতিক কেরিয়ায়ের কথা ভেবেই মুকুলের এই সিদ্ধান্ত! মকুলের রাজনৈতিক জীবনের এর পরবর্তী অধ্যায় বঙ্গ রাজনীতিতে জ্বলজ্বল করছে। মুকুলের ঘর ওয়াপসির দিন অর্থাৎ তৃণমূল ভবনের সেই বিশেষ সাংবাদিক বৈঠকে মুকুলের দিকে ধেয়ে এসেছিলেন একান্ত প্রাসঙ্গিক একটি প্রশ্ন! কিন্তু তার উত্তর মুকুল রায় দেওয়ার আগেই দিয়ে দিয়েছেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এবার এতদিনে সর্বসমক্ষে মুকুল! তিনি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতেই একাধিক তীর্যক মন্তব্য এসেছে। কেউ মুকুলকে কটাক্ষ করেছেন। আবার কেউ আক্রমণ করেছেন, কারও বক্তব্যে শ্লেষ রয়েছে। কেউ বা খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি ছাড়া নিয়ে, আবার কারও মতে ছেলের ইন্দ্রিয় সুখের জন্য দল বদলানো, কেউ বা মীরজাফর, গদ্দার বলছেন। কেউ পিএসির চেয়ারম্যান পদের লোভের কথা বলছেন। অনেকে আবার গিরগিটির প্রসঙ্গ তুলছেন। আবার অনেকে দলের পরিবর্তনের পিছনে অর্থনৈতিক লাভের কথা বলছেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন দুর্নীতিতে এবার সরাসরি মমতা-আলাপনকে বিঁধলেন শুভেন্দু!
তবে প্রায় সব কমেন্টই কাঁচড়াপাড়ার রায় বাহাদুরের বিরুদ্ধে। আর প্রায় সবার মত, “বিধায়ক পদ ছাড়ুন। তৃণমূলের টিকিটে জিতে এসে দেখান।”
এখন মুকুল দল ছাড়ার পর বিজেপি অন্দরেই তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তথাগত রায় টুইট করে লিখেছেন, “মুকুল রায় ছিলেন ট্রয়ের ঘোড়া। বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করে, ভিতরের সব কথা জেনে চলে গেলেন আর মমতাকে সব জানিয়ে দিলেন।” বিশ্লেষকরা বলছেন, তথাগত রায় আসলে ট্রয়ের ঘোড়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তাঁর দলেরই কেন্দ্রীয় নেতাদের দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।