Suvendu Adhikari: ভ্যাকসিন দুর্নীতিতে এবার সরাসরি মমতা-আলাপনকে বিঁধলেন শুভেন্দু!
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মেনশন করে টুইটে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেছেন, প্যানডেমিক পারচেজ স্ক্যাম কমিটির রিপোর্ট সর্বসমক্ষে আনতে হবে।
কলকাতা: টিকা জালিয়াতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই লেগেছে রাজনীতির রঙ। ধৃত দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) সঙ্গে প্রভাবশালী যোগ থাকার সূত্র খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেবাঞ্জন দেবের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে বিতর্ক আরও বেড়েছে। এরই মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) টুইট খোঁচা। ভ্যাকসিন দুর্নীতি নিয়ে সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মেনশন করে টুইটে তিনি দাবি করেছেন, প্যানডেমিক পারচেজ স্ক্যাম কমিটির রিপোর্ট সর্বসমক্ষে আনতে হবে।
শুভেন্দু লিখেছেন, “২০০০ কোটি টাকার প্যানডেমিক পারচেজ স্ক্যাম কমিটির রিপোর্ট সর্বসমক্ষে আনতে হবে রাজ্য সরকারকে। কেন এই রিপোর্ট লোকানো হচ্ছে?” পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। কারণ ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন খোদ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “অবিলম্বে স্বচ্ছতার সঙ্গে ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতে হবে।”
Government must make public 2000 crore Pandemic Purchase Scam Committee Report. Why hide report-investigation directed @MamataOfficial ?
Chief Advisor and former CS Alapan Bandopadhyay was head of Committee.
Accountability and transparency call for immediate disclosure.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 26, 2021
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আলাপন ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত ও তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের ‘জয়ের’ পর লক্ষ্যণীয়ভাবে সরাসরি আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দু-আলাপন কর্মক্ষেত্রে যোগ দীর্ঘদিনের। শুভেন্দু অধিকারী যখন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন, তখন পরিবহণ সচিব ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দু’জনেরই পদ এখন বদলেছে।
শুভেন্দু অধিকারী এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন করছেন। আর আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা। শুভেন্দুর এহেন টুইটের রাজনৈতিক তাৎপর্য আরও গহীন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও ছবি রয়েছে দেবাঞ্জনের। ফিরহাদ, সুদীপ-নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের সঙ্গে এক সারিতে নাম রয়েছে দেবাঞ্জনের- তাতেই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে চড়েছে রাজনীতির রঙ। বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে যদি রাজ্যের নেতানেত্রীদের নাম কিংবা ছবি থাকে, তাতে রাজনীতি রং লাগবেই। আর তাকে ইস্যু করবেন বিরোধীরা। এর আগে সারদা-নারদার ক্ষেত্রেও এরকম বিষয়টি দেখা গিয়েছে।
রাজনৈতিক সচেতকদের বক্তব্য যে সমস্ত নেতাদের সঙ্গে দেবাঞ্জনকে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে তাঁর কীরকম সম্পর্ক, কতটা ঘনিষ্ঠতা, তা পুলিশি তদন্তের বিষয়। অভিযুক্তরা নেতা-নেত্রীদের কাছে আসতে পারছেন, কিংবা সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারছেন, তার পিছনে কোনও পারিষদেরও হাত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: চাপ বাড়িয়ে পাশ হতে চাইছে আড়াই লাখ ‘ভুয়ো’ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী! সতর্ক পর্ষদ
তৃণমূল কী বলছে?
তবে তৃণমূল বলছে, কোনও অনুষ্ঠানে এসে কোনও ব্যক্তি পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে, তাঁর পরিচয় জানা সবসময় সম্ভব নয়। এই বিষয়টিতে দ্বিমত নন বিশ্লেষকরাও। কারণ কোনও অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার প্রবণতা থাকে অনেক সাধারণ মানুষেরই। সেক্ষেত্রে সেই সকল আম জনতার মধ্যে কোনও অসাধু ব্যক্তিও থাকতে পারেন, যাঁরা ওই ছবিটিকে নিজের অসৎ কাজে ব্যবহার করতে পারেন। দেবাঞ্জনও সেরকমই একজন হয়ে থাকতে পারেন। তবে গোটাটাই তদন্তের বিষয়। ইতিমধ্যেই একাধিক তৃণমূল নেতার নাম পুলিশের কাছে করেছেন দেবাঞ্জন।