Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

চাপ বাড়িয়ে পাশ হতে চাইছে আড়াই লাখ ‘ভুয়ো’ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী! সতর্ক পর্ষদ

Madhyamik 2021: পর্ষদের ইউনিক ওয়েবসাইটে স্কুলগুলিকে পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির নম্বর জমা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল ২১ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৯ লক্ষ ৭২ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়েছে। এখনও ২৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়েনি।

চাপ বাড়িয়ে পাশ হতে চাইছে আড়াই লাখ 'ভুয়ো' মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী! সতর্ক পর্ষদ
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 26, 2021 | 10:31 PM

কলকাতা: করোনার (COVID-19) কারণে এ বছর মাধ্যমিক (Madhyamik) ও উচ্চমাধ্যমিক (HS) পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বদলে এবার এই বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যথাক্রমে নবম ও একাদশ শ্রেণির ফলাফলের একটা বিশেষ তাৎপর্য থাকছে। গত ১৮ জুন মূল্যায়ন পদ্ধতি ঘোষণার পরই স্কুলে-স্কুলে বিভিন্ন সমস্যার খবর পাওয়া গিয়েছে। আর এই প্রেক্ষিতে স্কুলগুলিকে কড়া নির্দেশ দিল পর্ষদ। ঠিক কী ঘটেছে? কী নিয়ে সমস্যা?

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যে নবম শ্রেণির নম্বর জমা দিতে বলা হয়েছিল স্কুলগুলিকে তাতে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। প্রায় শ’খানেক স্কুলের নম্বরে মিলেছে গরমিল। ক্রমেই লম্বা হচ্ছে এই তালিকা। এই প্রেক্ষিতে যাদেরই অসঙ্গতি মিলবে সেই স্কুলগুলির মার্কস রেজিস্টার চেয়ে পাঠাবে পর্ষদ। নেওয়া হতে পারে কড়া পদক্ষেপ।

পর্ষদের ইউনিক ওয়েবসাইটে স্কুলগুলিকে পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির নম্বর জমা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল ২১ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৯ লক্ষ ৭২ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়েছে। এখনও ২৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়েনি। এর মধ্যে কিছু স্কুলে নম্বর ভুল আপলোড, কোথাও অসম্পূর্ণ নম্বর জমা পড়েছে। কোনও কোনও স্কুল আবার ভুল হয়েছে স্বীকার করে নিয়ে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছে। এই প্রেক্ষিতে, পর্ষদ নোটিস দিয়ে আরও দু’দিন পোর্টাল খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। আগামী রবিবার সকাল ১১ টা থেকে সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

এদিকে আগের সময়কাল পর্যন্ত যে নম্বর জমা পড়েছে তা খতিয়ে দেখে পর্ষদ দেখতে পাচ্ছে, বিভিন্ন স্কুল থেকে যে নম্বর এসেছে তাতে হাজারো গরমিল রয়েছে। বহু স্কুলে যে পরিমাণ পরীক্ষার্থী রয়েছে, সে মতো নম্বর হয়ত জমা পড়েনি। কোথাও আবার বিষয়ভিত্তিক নম্বরেও ভুল দেওয়া হয়েছে। শতাধিক স্কুল এই ধরনের গরমিল করেছে বলে খবর। এই প্রেক্ষিতে পর্ষদের কড়া সিদ্ধান্ত, যে স্কুলগুলি আবারও এই ধরনের ভুল করবে তাদের প্রত্য়েকের নম্বর রেজিস্টার্ড চেয়ে পাঠানো হবে। সেগুলো মিলিয়ে দেখা হবে স্কুলের পরীক্ষার্থীর সঙ্গে পোর্টালে দেওয়া নম্বরের সঙ্গতি আছে কিনা।

পর্ষদ সূত্রে খবর, আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্কুলগুলিকে জানানো হয়েছিল নম্বর জমা দিতে গিয়ে তারা যদি কোনও ভুল করে তার জন্য কড়া ব্য়বস্থা নেবে পর্ষদ। এদিকে ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষককে আটকে নম্বর বাড়ানো, কোথাও নম্বর কম দেওয়া হচ্ছে বলে বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া টিকা-ক্যাম্প নিষিদ্ধ, কসবা কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের 

কিন্তু পর্ষদ সূত্রে খবর, মাধ্যমিকের জন্য ফর্ম ফিলাপই করেনি, তারাও এবার এই মূল্যায়ন পদ্ধতির ফাঁকতাল গলে উতরে যেতে চাইছে। এই সংখ্যাটা প্রায় আড়াই লক্ষেরও বেশি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অন্যদিকে সত্তরের বেশি স্কুল ইউনিক পোর্টালে লগ ইন করেছে অথচ নম্বর পুরোপুরি জমা করেনি। তাই স্কুলগুলিকে আরও স্বচ্ছ ও নির্ভুলভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে তারা।