High Court: স্ত্রীর ‘ভার্জিনিটি’ পরীক্ষা করতে চেয়ে আদালতে যুবক, হাইকোর্ট যা বলল…
High Court: ছত্তীসগঢ় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় সংবিধানের ২১ ধারা অনুযায়ী মহিলার সম্মানহানি হয়, এমন কিছু তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে করা যায় না। এই ধরণের পরীক্ষায় সম্মতি দিতে পারে না আদালত।

কলকাতা: সীতার সতী হওয়ার পরীক্ষা অবশেষে আটকাল হাইকোর্ট! স্ত্রীকে সন্দেহ। আদালতে হাজির হয়ে সরাসরি স্ত্রীর ‘ভার্জিনিটি’ পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন যুবক। স্বামীর আর্জি নাকচ করে ভারতীয় সংবিধানের বাঁচার অধিকার স্মরণ করাল ছত্তীসগঢ় আদালত।
ছত্তীসগঢ় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় সংবিধানের ২১ ধারা অনুযায়ী মহিলার সম্মানহানি হয়, এমন কিছু তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে করা যায় না। এই ধরণের পরীক্ষায় সম্মতি দিতে পারে না আদালত।
২০২৩ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। যদিও বিয়ের পর স্ত্রী স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান। অভিযোগ, স্বামী অক্ষম, তাই তাঁর সঙ্গে কোনওমতেই থাকবেন না। ভরণপোষণ হিসেবে মাসে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন স্ত্রী। সেই মামলা নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যেই স্বামী পাল্টা অভিযোগ করে হাইকোর্টের দারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রীর ‘ভার্জিনিটি’ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হোক। তাঁর সন্দেহ তাঁর স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত৷
ছত্তীসগঢ় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ভর্মা, স্বামীর এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, এই ধরণের পরীক্ষা মহিলাদের সম্মানহানির সমান। তাই এই নির্দেশ দেওয়া যায় না। আইনজীবীদের বক্তব্য, সমাজে নানা পরিবর্তন হলেও মানসিক অবস্থা এখনও সেই আগের মতোই রয়ে গিয়েছে। যেখানে আজও মেয়েদের সতী হওয়ার পরীক্ষা দিতে হয়।





