Kasba: ‘ভালো মধু রয়েছে এখানে, তাই হানাহানি’, গুলি চালনার ঘটনায় কসবার ‘বড় চক্রের’ রহস্যভেদে কাউন্সিলর সুশান্ত?
Kasba: কসবায় কান পাতলে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার সঙ্গে সুশান্ত ঘোষের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা শোনা যায়। কালীপুজোর সময়ে হালতুতে নবীন সঙ্ঘ কালীপুজোর মণ্ডপ ভাঙচুরের সময় সুশান্তর অনুগামীরাও সেই অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু সুশান্ত সে সময়েও সরাসরি কিছু বলেননি।
কলকাতা: কসবার শপিং মলের কাছে কলকাতা পৌরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে খুনের চেষ্টা। ঘটনায় পুলিশের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আততায়ী মাত্র আড়াই হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েই চলে এসেছিল অপারেশন। ধৃতকে জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উঠে এসেছে মহম্মদ ইকবাল নামে এক জনের নামও। তবে এর পিছনে ‘বড় কোনও মাথাই’ সক্রিয় বলে মনে করছেন কাউন্সিলর। তাঁর বক্তব্য, বড় মাথা না থাকলে কেন সুপারি কিলার নিয়োগ করবে? কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই গুলি নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ বলেন, “ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! আগামী দিনে এটা বাজে জায়গায় যাচ্ছে। আমাদের কখনও ভাবতে হয়নি রাজনীতি করতে গেলে ক্রিমিন্যালকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। গত কয়েক বছরে কসবার চরিত্রই বদলে যাচ্ছে। কসবায় ভালো মধু রয়েছে। সেই মধু পেতেই হানাহানি। ভাল নেই কসবা।” কী ইঙ্গিত করলেন সুশান্ত, তা নিয়েই জল্পনা।
তিনি বলেন, “কসবা আধুনিক হচ্ছে, কসমোপলিটন হচ্ছে অঞ্চল। এখানে অবাঙালির সংখ্যা প্রচুর বাড়ছে। কোনও একজন নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই কাজটা করেছে। শোনা যাচ্ছে, বিহার থেকে সুপারি কিলার এনে এই কাজ করানো হয়েছে। এখানকারই কেউ নিশ্চয়ই আছে। বিহারের সঙ্গে তো আমার সরাসরি রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। আমার মনে হয় না দলের। বড় মাথা না হলে কেনই বা পয়সা দিয়ে সুপারি কিলার নিয়োগ করবে?”
কসবায় কান পাতলে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার সঙ্গে সুশান্ত ঘোষের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা শোনা যায়। কালীপুজোর সময়ে হালতুতে নবীন সঙ্ঘ কালীপুজোর মণ্ডপ ভাঙচুরের সময় সুশান্তর অনুগামীরাও সেই অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু সুশান্ত সে সময়েও সরাসরি কিছু বলেননি। শুক্রবার রাতের গুলি চালনার ঘটনার পর লিপিকা মান্না বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোথা থেকে আসবে? আমরা তো সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে চলি। আমি তো শুনিনি ওঁ (সুশান্তও) কখনও আমার নামে কিছু বলেছেন। আমরা দুজনই এক পার্টি করি। নিজেদের ব্যবসার জন্য, আমাকে পিছনে রেখে কিছু করতে চায়, সেটা অন্য ব্যাপার। একটা মুষ্টিমেয় লোক এটা করে যাচ্ছে। এটাকে নিয়ে অন্য লোকেরা রাজনীতি করছে।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবার শপিং মলের কাছে নিজের বাড়ির সামনেই বসেছিলেন সুশান্ত ঘোষ। অভিযোগ, বাইকে করে দুই দুষ্কৃতী এসে গুলি চালায়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাড়ির দরজায় লাগে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।