Kaustav Bagchi: খাড়গে-অধীর তরজার মাঝে বিস্ফোরক কৌস্তভ বাগচী
Adhir Chowdhury: কৌস্তভ বাগচী বলেন, "আমি কংগ্রেস থেকে যখন পদত্যাগ করেছিলাম আমার পদত্যাগপত্রে স্পষ্টই লিখেছিলাম সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি পশ্চিমবঙ্গে তাদের শাখা প্রদেশ কংগ্রেসকে মনে করে না, তৃণমূলকে মনে করে। সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্য থেকে আজ তা স্পষ্ট হয়ে গেল।"
কলকাতা: বহরমপুরের ভোট মিটটেই দিল্লি নেতৃত্বের সঙ্গে কার্যত বাকযুদ্ধে অধীর চৌধুরী। আর এই বাকযুদ্ধে অধীরের পক্ষেই দাঁড়ালেন কংগ্রেসত্য়াগী আইনজীবী তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেখানে জোট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে খাড়গে বলেন, “উনি (মমতা) জোটে আছেন, এটা নিশ্চিত। আর অধীর চৌধুরী কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কংগ্রেস দল আছে, হাইকমান্ড আছে। আমরা যা সিদ্ধান্ত নেব, সেটাই হবে। আমরা যা বলব, সেটাই মানতে হবে। কেউ যদি মানতে না পারে, তাহলে বেরিয়ে যেতে পারে।”
এ প্রসঙ্গে কৌস্তভ বাগচী বলেন, “আমি কংগ্রেস থেকে যখন পদত্যাগ করেছিলাম আমার পদত্যাগপত্রে স্পষ্টই লিখেছিলাম সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি পশ্চিমবঙ্গে তাদের শাখা প্রদেশ কংগ্রেসকে মনে করে না, তৃণমূলকে মনে করে। সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্য থেকে আজ তা স্পষ্ট হয়ে গেল।”
কৌস্তভের সংযোজন, “অধীরবাবু পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য। তাঁকে বাইরে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে যেটা স্পষ্ট করলেন, তাঁদের কাছে তৃণমূলের কারও বক্তব্য আরও অনেক বেশি গুরুত্ব পায়, বাংলার কোনও কংগ্রেস নেতা কর্মীর বক্তব্য গুরুত্ব পায় না। কংগ্রেসে থাকা মানে আত্মমর্যাদার সঙ্গে সমঝোতা করা যে তা আমি আগেই বলেছিলাম। আমি সমঝোতা করিনি, দেখা যাক অধীরবাবু সমঝোতা করেন কি না।” প্রসঙ্গত, খাড়গের মন্তব্য নিয়ে এদিন মুখ খোলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, এই লড়াই আমি কোনওভাবে থামাতে পারি না।