নীলবাতি গাড়ি থেকে নেমে ‘আইবি অফিসার’ পরিচয়, বলিউডি কায়দায় অপহরণ ব্যবসায়ীকে
কল্যাণীর রেস্তোরাঁ থেকে তুলে এনে একটি ব্যাংকোয়েটে আটকে রাখে অপহরণকারীরা। থানায় খবর দেন এক বন্ধ।
কলকাতা: নীলবাতি জ্বালিয়ে আসে গাড়ি। তার থেকে নেমে কয়েকজন নিজেদের আইবি অফিসার বলে পরিচয় দেন। এ ভাবেই একেবারে বলিউডি ছবির কায়দায় অপহরণ করল একদল দুষ্কৃতী। সুজয় বিশ্বাস নামে কল্যাণীর এক বাসিন্দাকে অপহরণ করে আনা হয় কলকাতায়। এয়ারপোর্টের কাছ থেকে তাঁকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন আইনজীবী। কী কারণে এই অপহরণ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই নীল বাতি জ্বালা গাড়ি।
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধেয় স্ত্রী’কে নিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেখানেই নীলবাতি জ্বালানো গাড়ি নিয়ে দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ীকে নিয়ে আসে গাড়ি। বিপদ থেকে মুক্তি পেতে এক বন্ধুর সাহায্য নেন ওই ব্যবসায়ী। ওই বিশ্বজিৎ আচার্য নামে বন্ধুকে ফোন করেন সুজয়বাবু। শুনেই থানায় ছুটে যান তিনি। এরপরই পুলিশ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন। বিশ্বজিৎ বাবু জানিয়েছেন, মুক্তিপন না দিলে মেরে ফেলা হবে বলেই হুমকি দিচ্ছিল অভিযুক্তরা, সিসিটিভি ফুটেজে সেই প্রমাণও মিলবে।
সুজয় বিশ্বাস নামে ওই ব্যবসায়ীকে সোমবার রাতে কল্যাণী থেকে অপহরণ করে বিমানবন্দর থানার একটি ব্যাংকোয়েটে আটকে রাখা হয়। ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অভিযুক্তরা। এরা নিজেদের ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে আটকে রাখে ব্যবসায়ীকে। এই ঘটনায় আজ, মঙ্গলবার মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা মূলত কলকাতা হুগলি টিটাগড় বিরাটি এলাকার বাসিন্দা। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি নীল বাতি গাড়ি, একটি স্করপিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজনীতি নয় দেশের স্বার্থে বৈঠক, ‘পাওয়ার হাউজ’ থেকে বেরিয়ে বললেন মজিদ, নীলোৎপলরা
এই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে এদের মধ্যে একজন আইনজীবী। এদের বিরুদ্ধে অপহরণ, তোলাবাজি প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কী কারণে অপহরণ, তা খতিয়ে দেখা হবে।