Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ranaghat Gold Robbery: অপহরণ ও পেট্রল পাম্পে হানা ছেড়ে এখন কেন বাংলায় সোনায় নজর বিহারের ডাকাতদের? কী বলছেন তদন্তকারীরা?

Ranaghat Gold Robbery: এর আগে চন্দননগর, ব্যারাকপুর থেকে ডানলপ- সব লুটেই মিলেছে বিহার যোগ! আর এতেই জলের মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের সফ্ট টার্গেট হয়ে উঠছে বাংলা!

Ranaghat Gold Robbery: অপহরণ ও পেট্রল পাম্পে হানা ছেড়ে এখন কেন বাংলায় সোনায় নজর বিহারের ডাকাতদের? কী বলছেন তদন্তকারীরা?
গ্রাফিক্স - অভীক দেবনাথ Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2023 | 9:40 PM

কলকাতা: নদিয়ার রানাঘাট ও পুরুলিয়ার নামোপাড়া, একই দিনে একই সময়ে দুই জেলায় একই সংস্থার সোনার বিপণিতে ডাকাতি! বড় পরিকল্পনার ক্লু মিলছে এবারও। রানাঘাটের গয়নার শো রুম। আর পুরুলিয়ার। আলাদা জেলা। বহু দূর একে অন্যের থেকে। কিন্তু মঙ্গলে অমঙ্গলের ছায়ায় এখন সব মিলেমিশে এক ! রানাঘাটের (Ranaghat) আউটলেটে যে সময়ে ডাকাত দল হানা দেয়, তার অল্প সময় পরপরই কিন্তু পুরুলিয়ার আউটলেটেও ডাকাতি হয়েছে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, এক্ষেত্রে ‘মোডাস অপারেন্ডি’ অর্থাৎ অপরাধের ধরণও এক!! একের পর এক সূত্র জুড়ে গোটা ছবি পরিস্কার করে দেখতে-বুঝতে তত্‍পর পুলিশ।  এখানেই প্রশ্ন উঠছে আমি-আপনি আদৌ সুরক্ষিত তো? রানাঘাটে ধৃত ডাকতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। বাড়ছে দুশ্চিন্তা। এদিকে রানাঘাটে সোনার দোকানে এই ডাকাতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। লুট হওয়া কিছু গয়নাগাটিও উদ্ধার হয়েছে। 

এর আগে চন্দননগর, ব্যারাকপুর থেকে ডানলপ- সব লুটেই মিলেছে বিহার যোগ!  আর এতেই জলের মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের সফ্ট টার্গেট হয়ে উঠছে বাংলা! এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। জানাচ্ছেন, এখন নগদ ছেড়ে সোনায় মজেছে এই ডাকাতরা। টার্গেট করছে গোল্ড লোন কোম্পানি বা জুয়েলারি সংস্থাকে। অন্তত গত কয়েক বছরের রেকর্ড তো তা-ই বলছে। সোজা কথায় বদলাচ্ছে ডাকাতির ধরণ, বদলাচ্ছে টার্গেট। একসময়ে বিহার বা ঝাড়খন্ড থেকে অপারেশন হতো। সেসময় দুষ্কৃতীদের গ্যাংয়ের টার্গেট ছিল অপহরণ আর পেট্রল পাম্পে ডাকাতি। সময়ের পরিবর্তনে গ্যাংগুলো ছক বদলেছে। প্রথমে ব্যাঙ্কে ডাকাতি, আর তারপর ইদানিং গত কয়েকবছর ধরে চলছে স্বর্ণঋণদানকারী বা স্বর্ণ বিপণিগুলোতে ডাকাতি। সমানতালে চলছে সোনার দোকানগুলো হানাও। 

নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে, বিহার থেকে অপহরণ ও পেট্রল পাম্প ডাকাতির ঘটনা রীতিমত শিল্পে পরিণত হয়েছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, ব্যাঙ্কে ডাকাতির চেয়ে, সোনার দোকানে হানাটা অনেক সুবিধা, ব্যাঙ্কে ক্যাশ কম থাকে, তাই গত কয়েকবছরে বিহার গ্যাংয়ের টার্গেট স্বর্ণ বিপণি সংস্থাগুলি। এই কাজে জ্যামার থেকে ম্যান টু ম্যান স্ট্রং নেটওয়ার্ক সিস্টেম কাজে লাগাচ্ছে গ্যাংগুলো। 

ডাকাতির টার্গেট সোনা 

২০১৭-তে আসানসোল গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতি

২০১৭-য় বরাহনগর গোল্ড লোন সংস্থায় হানা

২০১৭-য় কলকাতায় বেনিয়াপুকুর গোল্ড লোন সংস্থায় প্রায় তিন কোটি টাকার ডাকাতি

২০২০-তে বর্ধমান গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতি

২০২১-এ আসানসোল গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতি

২০২১-এ চন্দননগর স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি

২০২১-এ হাওড়ার গোল্ড লোন সংস্থায় হানা

২৪ মে, ২০২৩ সালে ব্যারাকপুরে সোনার দোকানের মালিকের ছেলেকে গুলি। এ ঘটনায় বিহারের বেউর জেলে বসে ডাকাতির ছক কষা হয়েছিল বলে অনুমান পুলিশের।