KMC Councillor Death: পুজো আর দেখা হল না, মহালয়ার ভোরেই ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন কাউন্সিলর
Liver Cancer: দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। লিভার ক্যান্সার। সেই ক্যান্সারকে সঙ্গে নিয়েই কাউন্সিলর হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন গৌতম বাবু।
কলকাতা: সামনেই পুজো। চারিদিকে সাজো সাজো রব। কিন্তু এরই মধ্যে শোকের ছায়া কলকাতা পুরনিগমের চার নম্বর ওয়ার্ডে। কলকাতা শহরে এবার দুর্গাপুজো আরও জাঁকজমকপূর্ণ। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে যে পুজো। কিন্তু এবারের পুজো আর দেখে যেতে পারলে না চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম হালদার। ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন তিনি। গোটা শহর যখন ভোরবেলা রেডিয়োয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী শুনছে, তার খানিক আগেই জীবনযুদ্ধে হার মানলেন তিনি। রবিবার ভোর-রাত তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। লিভার ক্যান্সার। সেই ক্যান্সারকে সঙ্গে নিয়েই কাউন্সিলর হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন গৌতম বাবু। ২০১৫ সাল থেকে কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর তিনি। বিগত কিছুদিন ধরে সোনারপুরের বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরিবারের আশা ছিল, হয়ত ক্যান্সারকে হারিয়ে ফিরে আসবেন তিনি। কিন্তু পুজোর আগেই সবাইকে কাঁদিয়ে মহালয়ার ভোরে জীবনযুদ্ধে হার মানলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গৌতম বাবুর পরিবার ও অনুগামীদের মনে। রবিবার সকালে প্রয়াত কাউন্সিলরের মরদেহে দলীয় পতাকা এবং মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও।
কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “গৌতম অত্যন্ত সক্রিয় কাউন্সিলর ছিলেন। গত ২০১৫ সাল থেকে এই এলাকার উন্নয়নের জন্য সর্বদা সওয়াল করে গিয়েছেন। যখনই দেখা হত, তখনই এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আমার কাছে টাকা চাইতেন। এলাকার জন্য সর্বদা কাজ করেছেন গৌতম। আমার পুরনিগমের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে আমি আজ হারালাম।”
এলাকার (কাশিপুর- বেলগাছিয়া) বিধায়ক তথা ডেপুটি মেয়র অতীত ঘোষ বলেন, “আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী গৌতম। আমার ভোটের সময় ও যেভাবে ছোটাছুটি করেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমি দীর্ঘদিনের সহকর্মীকে হারালাম। ও চেয়েছিল বাঁচতে। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল প্রাণপণে। কিন্তু পারল না।”