Minakshi Mukherjee: মাসে ৫০০০ টাকা ভাতা পাওয়া মীনাক্ষীর কোয়ালিফিকেশন জানেন
CPIM: পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির মেয়ে মীনাক্ষী। কুলটিতেই পড়াশোনা। বাবা-মা দু'জনেই সিপিএমের সদস্য ছিলেন। সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তাঁরা। তাই বাম রাজনীতির প্রতি কিছুটা সহজাতভাবেই আকৃষ্ট ছিলেন তিনি। কলেজে পড়ার সময় থেকেই বাম রাজনীতিতে সক্রিয় হতে শুরু করেন মীনাক্ষী।

কলকাতা: তাঁর মুখের মেঠো ভাষায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণের কথা শুনতে পছন্দ করেন অনেকেই। মিছিলের সামনে অথবা মঞ্চে, সহজবোধ্য ভাষায় আঞ্চলিক বাচনভঙ্গীতেই অনেক কঠিন কথা বলে ফেলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বর্ধমানের এক শহরের মেয়ে আজ রাজ্যস্তরের নেত্রী। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহসটাও দেখিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। ২০২১-এর ভোটে মীনাক্ষীর আর এক প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম ছিল শুভেন্দু অধিকারী। ‘ফুলটাইম’ রাজনীতি করা মীনাক্ষীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী জানেন?
পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির মেয়ে মীনাক্ষী। কুলটিতেই পড়াশোনা। বাবা-মা দু’জনেই সিপিএমের সদস্য ছিলেন। সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তাঁরা। তাই বাম রাজনীতির প্রতি কিছুটা সহজাতভাবেই আকৃষ্ট ছিলেন তিনি। কলেজে পড়ার সময় থেকেই বাম রাজনীতিতে সক্রিয় হতে শুরু করেন মীনাক্ষী।
বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর হাত ধরেই মীনাক্ষীকে চিনতে শুরু করে রাজনৈতিক মহল। ২০০৮-এ সদস্য হওয়ার ১০ বছর পরই ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভাপতি পদ পেয়ে যান সুবক্তা মীনাক্ষী। পরে যুব সংগঠন ছেড়েছেন। বর্তমানে তিনি সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, পাশাপাশি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীরও সদস্য তিনি।
জলধী কুমারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে মাধ্যমিক ও ২০০২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন মীনাক্ষী। পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের অধীনেই সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপর রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে আসানসোলের বিবি কলেজে ভর্তি হন তিনি। ২০০৫ সালে সালে স্নাতক উত্তীর্ণ হন মীনাক্ষী। এরপর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানেই স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন সিপিএম নেত্রী। ২০১০ সালে বিএড উত্তীর্ণ হন।
তবে রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত নন বছর ৪২-এ মীনাক্ষী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন সেখানেই উল্লেখ রয়েছে যে দলের তরফ থেকে ভাতা হিসেবে মাসে মাসে ৫০০০ টাকা করে পান মীনাক্ষী। এর বাইরে তাঁর আর কোনও আয় নেই।
