কলকাতা: তাঁকে খুঁজতে হন্যে হয়ে ঘুরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাঁর বাড়ি, অফিস তো বটেই, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, আসানসোল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সল্টলেক-সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে একযোগে তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। কিন্তু সেই কয়লা পাচারের সম্রাট লালা কোথায়? কিন্তু তাঁকে নাগালে আনতে পারেননি। লালাকে নোটিস পাঠিয়ে তলব করেছে সিবিআই। সোমবার অত্যন্ত সচেতনভাবে সেই হাজিরাও এড়িয়ে গেলেন লালা (Anup Majhi) ।
শনিবারই লালাকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যাসেসে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। বিকাল ৩টে পর্যন্ত তাঁর জন্য অপেক্ষা করা হয়। কিন্তু লালা এদিন আসেননি। সিবিআই সূত্রে খবর, ফোনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন লালা। ৩ দিন সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। ৩ দিন পর তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে লালা এরপরও হাজিরা না দিলে সিবিআই আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন জানাবে বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হলেন লালা। নিরাপত্তা বাহিনীর একাংশ থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীর সাহায্য- কয়লা পাচারে যেভাবে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন লালা, তা দেখে হতবাক তদন্তকারীরাও। কয়লাকাণ্ডে কেঁচো খুড়তে তদন্তকারীরা পেয়েছেন একে একে কেউটের সন্ধান। ইতিমধ্যেই লালার এক বছরের কল রেকর্ড এসেছে সিবিআই-এর হাতে।
সূত্রের খবর, সিবিআই জানতে পেরেছে লালার সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়মিত কথা হত। তবে তাঁদের সঙ্গে এই সংক্রান্ত ঠিক কী কথা হত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এক্ষেত্রে রাঘববোয়ালদের নাম খুঁজে পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুধু তাই নয়, তল্লাশি অভিযানের দিন অর্থাত্ ২৭ নভেম্বর লালা পালানোর আগে ঠিক কাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং কী কথা বলেছিলেন, তা জানতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন: বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান: মৃত্যু এক বিজেপি কর্মীর, রণক্ষেত্রের চেহারা শিলিগুড়ির
লালার আসানসোল ও শেক্সপীয়র সরণীর বাড়িতে তল্লাশিতে মোট ১৫ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, লালা একাধিক সম্পত্তি দ্বিগুণ দামে কিনেছেন। বেনামি আরনছে লালার, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।