‘সরকার ত্রিপুরা যাওয়ার জন্য বিমান তৈরির অর্ডার দিয়েছে, এরপর রোজ যাবে’, কটাক্ষ দিলীপের

Tripura: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেব বর্মা।

'সরকার ত্রিপুরা যাওয়ার জন্য বিমান তৈরির অর্ডার দিয়েছে, এরপর রোজ যাবে', কটাক্ষ দিলীপের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2021 | 10:46 AM

কলকাতা: ‘সরকার বিমান অর্ডার দিয়েছে। এবার বিমান চলে এলেই একবার দিল্লি, একবার ত্রিপুরা করবেন।’ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের ত্রিপুরা ‘অভিযান’ নিয়ে এবার চরম কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

তিনি বলেন, “আপাতত বিমান ভাড়া করছেন, এরপর সরকার বিমান কেনার জন্যে অর্ডার দিয়েছে। সেটা এলেই তখন একবার দিল্লী একবার ত্রিপুরা করবে। পশ্চিমবঙ্গের কাজ হয়ে গিয়েছে এবার ত্রিপুরা উন্নত করতে হবে সে কারণেই যাচ্ছে।”

প্রসঙ্গত,  ত্রিপুরা নিয়ে এখন বাংলায় শাসক-বিরোধী লড়াই তুঙ্গে। চলে দাবি-পাল্টা দাবির লড়াই। এরই মধ্যে ১৬ অগস্ট খেলা হবে দিবসের আগে দলীয় নির্দেশ মতো ধীরে ধীরে ত্রিপুরা যেতে শুরু করবেন তৃণমূল সাংসদরা। আজ, শুক্রবার আগরতলায় যাওয়ার কথা ব্রাত্য বসু, অর্পিতা ঘোষরা। দুপুরের বিমানে ত্রিপুরা যাবেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বিমানে যাবেন প্রতিমা মণ্ডল। দোলা সেনকেও ত্রিপুরা যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী।

খেলা হবে দিবসে ত্রিপুরা জুড়ে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। সে রাজ্যে পাহাড় থেকে সমতল ১ লক্ষ ফুটবল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগরতলায় পা রাখা মাত্রই গ্রেফতার হতে পারেন জয়া, সুদীপ ও দেবাংশুরা। এমনটাই আশঙ্কা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার রাতেই দেবাংশুর গাড়ি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দুদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে ত্রিপুরা ইস্যুতে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “বাংলায় জে পি নাড্ডা থাকাকালীন বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের মধ্যে পড়েন। নাড্ডার গাড়ির ওপর হামলা, তিনজন আইপিএসকে অ্যাটাচ করা হয়েছিল। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলা হয়েছে, জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অভিষেকের গাড়িতে হামলা নিয়ে কতজন আইপিএসকে তলব করা হয়েছে? জোর করে মারধর করে তৃণমূলকে দমন করা যাবে না।”

ত্রিপুরা প্রসঙ্গ উত্থাপিত হতেই এদিন মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “ত্রিপুরাতে তৃণমূল কে করে? কার বাড়িতে রেড করবে? কার সময় আছে? এখান থেকে যারা ওখানে উৎপাত করতে গিয়েছিল। তারা এই অসভ্যতা ও  হিংসার রাজনীতি সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে দিতে চাইছে।”

তাঁর দাবি, “পশ্চিমবাংলায় কোন নিয়ম কানুন নেই, যে যা ইচ্ছা করতে পারে। ত্রিপুরাতে নিয়ম কানুন আছে, পুলিশ আছে, সরকার আছে। ওখানে যে প্যান্ডামিক পরিস্থিতি চলছে, যারা আইন ভাঙবে, তারা গ্রেফতার হবে। যারা ওখানে গিয়ে বিনা কারণে অশান্তি করবে, তারা গ্রেফতার হবে। সরকারের দায়িত্ব আছে ওখানে। তৃণমূল সরকার শুধু বিজেপির জন্য আইন করে রেখেছে। কিন্তু ওখানে সবার জন্য আইন সমান।”

প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবার সল্টলেকের বিডি মার্কেটে চা চক্রে যোগ দিয়ে ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর  কটাক্ষ, “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ দলদাস। প্রত্যেক দিন আমাদের নামে কেস হয়। প্রত্যেক সপ্তাহে একটা করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে প্রত্যেক মাসে একটা কোর্টে ডেট ফেলে। এই ধরনের কথা বলার কোনও মানে হয় না ।পুলিশ পুলিশের কাজ করবে।”

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেব বর্মা। অভিযোগ হয়েছে দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, সুবল ভৌমিক ও প্রকাশচন্দ্র দাসের বিরুদ্ধেও। তাঁদের বিরুদ্ধে মূলত ২টি ধারায় মামলা করা হয়েছে। ১৮৬ ও ৩৪ নম্বর- এই দুটি ধারায় সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। এরপরই টুইট করেন কুণাল। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিজেপি। আরও পড়ুন: লালবাজারে অতিথিদের দেওয়া হয় চপ-মুড়ি! অগ্নিমিত্রার একটা টুইটেই নেটপাড়ায় শোরগোল