কলকাতা: অনেকটা রাত তখন। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও কম। পথচলতি এক গাড়ি চালকের নজরে পড়ে দৃশ্য। দূর থেকে দেখেন রাস্তার ওপরেই একটি বাইক উল্টে পড়ে রয়েছে। সামনের অংশ পুরো দুমড়ে গিয়েছে। তখনও আসল বিষয়টা দেখতেই পাননি তিনি। গাড়ি একটু এগিয়ে নিয়ে যেতেই দেখেন, পাশেই পড়ে রয়েছেন এক যুবক। মুখের সামনের অংশ থেঁতলে গিয়েছে তাঁর। আরেক জন পড়েছেন আরও একটু দূরে। তাঁর হাত কার্যত ভেঙে পিছনের দিকে চলে গিয়েছে। আবারও রাতের শহরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। মেয়ো রোডের জে এন আইল্যান্ডের কাছে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন ২ জন। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত একটা নাগাদ একটি বাইকে দুই যুবক যাচ্ছিল। রাস্তার ধারের সিসিটিভিতে তাঁদের কিছুটা আগেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। বাইকের গতিবেগ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার মুহূর্তের কোনও ফুটেজ নেই। আমচকাই পথ চলতি সাধারণ এক গাড়ির চালক, রাস্তার ধারে বাইকটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তারপরই দুজনকে আহত অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে কাতরাতে থাকেন।
তিনি ট্রাফিক পুলিশকে ডেকে আনেন। পরে পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে কাতরাচ্ছিলেন। একটা বাইক পড়ে থাকতে দেখেছিলেন তিনি। আর কানে এসেছিল গোঙানির শব্দ। তাতেই গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাইকের গতিবেগ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। সামনে কোনও গাড়ি চলে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাইক চালক। গাড়িতে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় বাইকটি। ছিটকে কয়েক ফুট দূরে রাস্তায় পড়েন দুই যুবক। আপাতত জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম ইমরান খান ও মনু দাস। দুজনেরই বয়স ১৮-র আশেপাশে। তারা আকড়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তারপর তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।