Jalpaiguri Leopard: অনেকটা রাতে অদ্ভূতভাবে ডাকছিল পোষ্যটা! দরজা খুলতেই মৃত্যুর মুখোমুখি গৃহকর্তা
Jalpaiguri Leopard: গ্রামবাসীর বাড়িতে ঢুকে পোষ্যকে টেনে বার করে আনল চিতাবাঘ। আতঙ্কে জলপাইগুড়ির মেটলি ব্লকের বাসিন্দারা।
জলপাইগুড়ি: টিন আর বেড়ার বাড়ি। দরজায় সামান্য তালা দেওয়া। রাতের খাওয়া সেরে তখন শুয়ে পড়েছিলেন বাড়ির সদস্যরা। আচমকাই পোষ্যের ঘরে একটা খচখচ আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন। প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি। কিন্তু একটা অন্য ধরনের শব্দ শুনে খটকা লাগে তাঁদের মনে। দরজা খুলে পিছনের দিকে যেতেই শিউরে ওঠেন। ভয়ে পিছিয়ে আসেন কয়েক পা। চিতাবাঘটা তখন পোষ্য ছাগলের গলায় থাবা বসিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীর বাড়িতে ঢুকে পোষ্যকে টেনে বার করে আনল চিতাবাঘ। আতঙ্কে জলপাইগুড়ির মেটলি ব্লকের বাসিন্দারা।
মেটেলি ব্লকের খরিয়ার বন্দর জঙ্গল সংলগ্ন বাতাবাড়ি পশ্চিম পশ্চিমপাড়া এলাকায় নতুন করে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সংলগ্ন খরিয়ার বন্দর জঙ্গলের ধারেই বাড়ি রিপন আলমের। রিপন আলম জঙ্গলেরই কাঠ কুড়িয়ে সংসার চালান। টিনের চালের বাড়ি তাঁর। মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়িতে ঢোকে এক পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘ।
কিন্তু এতটাই সজাগভাবে চিতাবাঘটি ঘরে ঢোকে, যে কিছুই আঁচ করতে পারেননি ওঁরা। খাওয়া দাওয়া সেরে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আচমকাই পোষ্যের একটা ডাক শুনতে পেয়েছিলেন, তারপর অপরিচিত একটা আওয়াজ। সন্দেহ হওয়ায় দরজা খুলেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “দেখি তখন চিতাবাঘটা আমার ছাগলটা টেনে নিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ এমন দৃশ্য় দেখে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে। চোখের সামনে চিতাবাঘ। আমরা ভয়ে শিউরে যাই। পরে চিৎকার শুরু করি। বাঘটা ছাগলকে ছেড়ে পালায়। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।”
গোটা এলাকায় এখন চিতাবাঘের আতঙ্ক। আবার কার বাড়িতে ঢোকে! সেটাই ভয়। ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বনকর্মীরা। চিতাবাঘ ধরার জন্য খাঁচা বসানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Kasba Bomb Recovered: জল দেওয়ার সময়ে ফুলের টবে দেখেছিলেন সেই জিনিস! বিভীষিকায় বাকরুদ্ধ গৃহকর্তা