কলকাতা: সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবারই দিল্লিতে রওনা দিয়েছেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। তার আগে আরও একবার উঠে এল সিএএ (CAA) প্রসঙ্গ। এদিন দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হবে। কথা হবে মতুয়াদের দাবি নিয়েও। শান্তনু ঠাকুর বলেন, “সমস্ত বিষয় নিয়েই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হবে। এগুলো তো খুবই বাস্তব বিষয়। সিএএ নিয়ে ৯ তারিখ অবধি একটা সময় ছিল। সেই সময়সীমা কেটেছে। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে। কারণ, আমাদের মানুষই তো ভুক্তভোগী। ওনার সঙ্গে এটা নিয়ে পরিষ্কার কথা না হলে তো… আমাদের একটা অ্যাসোসিয়েশন আছে, সংগঠন আছে। সেই সংগঠন থেকে আমাদের উপরও চাপ আসে। সেগুলো তো বুঝতে হবে।”
এদিকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, মতুয়াদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি। শান্তনু ঠাকুরকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সময় দেবেন কি না তা নিয়েও সন্দিহান সৌগত রায়। রবিবার তিনিও দিল্লিতে রওনা দেন। বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনিও। তার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সৌগত রায় বলেন, “তঞ্চকতা করা হয়েছে মতুয়া সমাজের প্রতি। শান্তনু বুঝতে পারছে যে ওর জমিটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই ও চেষ্টা করছে, এটা ওটা বলছে। আমি জানি না শান্তনুকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সময় দিতে পারবে কি না। সামনে উত্তর প্রদেশ-সহ পাঁচটা রাজ্যে নির্বাচন আছে। ওদের কাছে এখন মতুয়া ভোট প্রায়োরিটি নয়।”
যদিও বিজেপির দাবি, সিএএ তাদের সরকারই আইন করেছে। সুতরাং তারা তো চাইবেই এই আইন বলবৎ করতে। এ নিয়ে ভুল বোঝানোর রাজনীতি হচ্ছে বলেও দাবি তাদের। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির সঙ্গে সবসময় থেকেছে। বারবারই তার প্রমাণও মিলেছে। নির্বাচনের সময় বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তাঁরা। বিজেপিও সবসময় সমস্ত মানুষের সঙ্গে সার্বিক সমন্বয় রক্ষা করে চলার পক্ষেই বিশ্বাসী। সকলেই তাঁদের সঙ্গে আছেন।
নতুন রাজ্য কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধিদের রাখা হয়নি, এমনই অভিযোগ ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে বঙ্গ বিজেপি। গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী দলীয় বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে সেই বিতর্ক আরও জোরাল হয়। শান্তনু ঠাকুর নিজেও গ্রুপ লেফট করেন। এরপরই নতুন করে সিএএ প্রসঙ্গ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: Municipal Election: ভোট পিছোনোর দাবি নিয়ে সোমবারই কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি, চাইছে একদিনে গণনাও