স্বাধীনতা দিবসে দিলীপ ঘোষের তারিফে পঞ্চমুখ মমতা, জানালেন চায়ের আমন্ত্রণ

Kolkata:রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বললেন আপনি নবান্নে আসেন না কেন? একদিন নবান্নে আসুন।"

স্বাধীনতা দিবসে দিলীপ ঘোষের তারিফে পঞ্চমুখ মমতা, জানালেন চায়ের আমন্ত্রণ
অলংকরণ: অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2021 | 7:14 AM

কলকাতা: নবান্নে (Nabanna) চা চক্রের আসরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ররিবার স্বাধীনতা দিবসে রাজভবনে চা চক্রের আসরে মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী ও দিলীপ ঘোষ। তখনই মুখ্যমন্ত্রী এই আমন্ত্রণ জানান বলে নবান্ন সূত্রে খবর। দিলীপ ঘোষের প্রাতঃভ্রমণ ও শরীরচর্চা করার অভ্যাসকে প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী ।

রবিবার রাজভবনের চা চক্রের আসরে ছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, এ দিন শুধুই চায়ের কাপ হাতে আড্ডাই হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। চায়ের আসরে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের চা চক্রের আসরে এদিন বিরোধী-শাসক দলের নেতৃত্ব মুখোমুখি হলেও রাজনীতি ছিল উর্ধ্বে। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন তাঁর অরাজনৈতিক একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি তাঁকে নবান্নে চা চক্রে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নেহাতই তা সৌজন্য বিনিময়।

প্রত্যেকদিনই নিউটাউনের ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে যান দিলীপ ঘোষ। শরীরচর্চাও করেন তিনি। ইকো পার্কে ততক্ষণ অপেক্ষা করেন সাংবাদিকরাাও। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের সাম্প্রতিকতম একাধিক ইস্যুতে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত মুখ্যমন্ত্রীও। তবে এদিন সেসবের উর্ধ্বে কেবল দিলীপ ঘোষের শরীরচর্চার করার অভ্যাসের তারিফ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বললেন আপনি নবান্নে আসেন না কেন? একদিন নবান্নে আসুন।” তবে এটাও দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “আজকের আলোচনায় কোথাও কোনও রাজনীতি ছিল না। কেবল সৌজন্যমূলক সাক্ষাত্ই হয়েছে। রাজনীতির উর্ধ্বে একটা সৌজন্যের সম্পর্কও থাকা উচিত।”

এপ্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটি প্রসঙ্গ তুলে ধরছেন। চরম বিরোধিতায় থাকা সত্ত্বেও কয়েক বছর আগে বাম নেতৃত্বকে নবান্নে যেতে দেখা গিয়েছিল। সেখানে বিমান বসু-সহ একাধিক বাম নেতা ফিশ ফ্রাইও খেয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল চা ও কফিও। তত্কালীন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সে যাবত্ সাপে নেউলের রাজনৈতিক সমীকরণে কিছুটা বদলের আভাস দেখেছিলেন। যদিও প্রেক্ষাপট ছিল আলাদা। মমতা শাসনে পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ জানিয়ে নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাম নেতারা। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি সম্পূর্ণই ভিন্ন। স্বাধীনতা দিবসে রাজভবনে মুখোমুখি বিরোধী-শাসক নেতৃত্ব। আর তাতেই সৌজন্য বিনিময়!

বাংলার রাজনীতি থেকে সৌজন্য যাতে হারিয়ে না যায় সেকথাও বলেন তিনি। তবে এদিনের সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষেরই বেশি কথা হয়েছে। রাজ্যপালের সামনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তথাগত রায়ের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও পড়ুন: ‘মরে যেতে পারতাম,’ এসএসকেএম-এ মন্তব্য দোলার, ফিরহাদ বললেন, ‘আমরা তো ইট ছুড়ি না!’