কলকাতা: অগস্ট মাসের শেষেও শহরের (Kolkata) দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঘোরাফেরা করছিল ৬০-৭০ এর আশেপাশে। উত্তর ২৪ পরগনাতেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় খুব একটা হেরফের হয়নি। কিন্তু সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি আসতেই অশনি সঙ্কেত। কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। প্রত্যেক ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ১৩০ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এই দুই জেলায়। চলতি মাসের মাঝেই যে তৃতীয় ঢেউয়ের ভয় দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল, তা যেন আরেকটু কাছে চলে এসেছে। শহরের পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক দিকে এগোচ্ছে, তা স্বীকার করছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগও। যে কারণে সংক্রমণ বেশি থাকা এলাকাগুলিতে কন্টেনমেন্ট জ়োন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সামনেই উৎসবের মরসুম। তার আগে বারংবার করে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা শুনিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। যেন সেই আশঙ্কা সত্যি করেই এবার এক উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান প্রকাশ পেল কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, পুরসভার ৯ টি বরোর প্রতিটিতে গত ১৪ দিনে ১০ জনের বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন পুরসভার কর্তারাও।
পুরসভা সূত্রে খবর, দিনদুয়েক আগেই পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম-সহ কমিশনার বিনোদ কুমারকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। যেখানে প্রকাশ পেয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার ৮ টি এবং বাইপাস সংলগ্ন মধ্য কলকাতার একটি বরোতে করোনার বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে। গত ১৪ দিনে ১০ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। বরোভিত্তিক বিস্তারিত এই রিপোর্ট পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ২২ অগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মাঝের এই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ৯ টি বরোতে মোট ৪৬ টি ওয়ার্ড রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: Bhawanipur Bypoll: বুথপ্রতি দু’জন করে এজেন্ট! তৃণমূলের চেনা ছকেই মমতাকে ফাঁদে ফেলতে চায় বিজেপি
এই রিপোর্ট হাতে আসার পরই দুশ্চিন্তা বেড়েছে পুর প্রশাসনের। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তার জন্য দ্রুত একাধিক পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, যে এলাকাগুলি সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেখানে কন্টেনমেন্ট জ়োন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিনকয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কী করা উচিত হবে, সেই সংক্রান্ত ১৩ টি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যেখানে এলাকাভিত্তিক কন্টেনমেন্ট জ়োন তৈরির পাশাপাশি টিকাকরণে জোর দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বরোর যে পকেটগুলিতে সংক্রমণ বেশি মাত্রায় ছড়াচ্ছে, সেখানে অতিরিক্ত নজর দিতেও বলেছেন পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র টিকার প্রথম ডোজ় নিলে হবে না। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ় যাতে প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌঁছয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে পুরসভাকে।
আরও পড়ুন: Weather Update: বৃষ্টি এলো ঝেঁপে… কলকাতা-সহ উপকূলের জেলায় ভারী বৃষ্টির সঙ্গী হচ্ছে ঝোড়ো হাওয়া