কলকাতা: ঢালাও আর্থিক অনিয়ম। অভিযোগও প্রমাণিত। তবে তার শাস্তি স্রেফ পাঁচ ধাপ বেতন কমানো এবং পাঁচ বছর পদোন্নতি বন্ধ। বহাল তবিয়তেই গদি আঁকড়ে বসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata Medical College Hospital) পদস্থ আধিকারিক জয়ন্ত সান্যাল। গুরু পাপে লঘু দণ্ডের অভিযোগে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
খোলা বাজার থেকে ওষুধ, রাসায়নিক, রিএজেন্ট কেনা-সহ দেড় কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০০৪- ২০০৭ ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার থাকাকালীন আর্থিক অনিয়মের পর্দা ফাঁসে তাঁকে দোষী সাব্যস্তও করেছে স্বাস্থ্য দফতরের ভিজিল্যান্স কমিশন। বেতন কমানো বা পদোন্নতি রোখা এর যোগ্য শাস্তি নয়- মত স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরই।
আরও পড়ুন: মমতাকে প্রণামের পরই বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক কৈলাস-মুকুলের
বর্তমানে কলকাতা মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার পদে দিব্যি বহাল রয়েছেন তিনি। প্রভাবশালী যোগেই কি এমন ব্যবস্থা? জোরদার প্রশ্ন স্বাস্থ্য মহলে। শুরু হয়েছে বিতর্কও। প্রশ্ন উঠছে, দুর্নীতি মামলায় একে তো ১৪ বছর পর সাজা ঘোষণা হল। তাও স্রেফ পাঁচ বছরের পদোন্নতি বন্ধ আর পাঁচ ধাপ বেতন কম! দুর্নীতি প্রশ্নে কি স্রেফ এটাই দণ্ড? কী বার্তা পৌঁছচ্ছে সমাজের কাছে? এ প্রসঙ্গে ফোনে জয়ন্ত সান্যাল বলেন, “আমার এ বিষয়ে কিচ্ছু বলার নেই।” অভিযুক্ত চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, জয়ন্তবাবুকে হয়তো ফাঁসানো হয়েছে। তিনি এ ধরনের কাজে যুক্ত থাকতে পারেন না।