‘বাড়ির বউ এসেছে বিদেশ থেকে আর আমরা বহিরাগত!’

Feb 17, 2021 | 12:19 PM

"আলু ক্ষেতে পড়ে রয়েছে কেউ নিচ্ছে না। কৃষকরা চড়াদামে আলুর বীজ কিনেছে। ধান কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। দিল্লিতে ভুলভাল বুঝিয়ে পথে নামিয়ে দিয়েছেন। তারা জানেন ই না কৃষি আইন কী?"

বাড়ির বউ এসেছে বিদেশ থেকে আর আমরা বহিরাগত!
ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: ‘বাড়ির বউ এসেছে বিদেশে থেকে আর আমরা বহিরাগত!’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার বহিরাগত ইস্যুতেই পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “আবোল তাবোল সরকারকে বিদায় দিন। বিহার থেকে স্ট্র্যাটেজিস্ট এসেছে আর আমরা বহিরাগত!” প্রশান্ত কিশোরকে বিঁধবার পাশাপাশি ঠিক এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির বউকেও টেনে আনেন তিনি।

সম্প্রতি দুর্গা নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দিলীপের মন্তব্য  রেকর্ডিং করে জনে জনে ফোন করে শোনাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। এই নিয়ে রাজনীতিতে হয়েছে বিস্তর জলঘোলা। এদিন তারও পাল্টা দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “দিদিমনি আসলে দুর্গার নাম নিয়ে বৈতরণী পার করতে চাইছেন। মুক্তি কেউ দিতে পারবে না, আমরা দেব। পাগলের সরকার আর দরকার নেই।” উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “রামের পূর্বপুরুষের নাম জানা আছে, দুর্গার জানা আছে কী?” এরপরই এই মন্তব্য নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধে।

এদিনের চা চক্রে একাধিক ইস্যু উঠে আসে দিলীপ ঘোষের মুখে। উঠে আসে দিল্লির কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “আলু ক্ষেতে পড়ে রয়েছে কেউ নিচ্ছে না। কৃষকরা চড়াদামে আলুর বীজ কিনেছে। ধান কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। দিল্লিতে ভুলভাল বুঝিয়ে পথে নামিয়ে দিয়েছেন। তারা জানেন ই না কৃষি আইন কী?”

তিনি বলেন, “পাড়ায় পাড়ায় জমদূত বেড়িয়েছে। যাত্রা আটকাতে পারেনি মানুষকেও আটকাতে পারেনি। পুরসভা নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে। যেকোনো নির্বাচনে ভয় পাচ্ছে।” তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেও কড়া ভাষায় বেঁধেন তিনি। বলেন, “বড় বড় গগলস পরে ভাষণ দিচ্ছেন। যে যত বেশি চোর, সে তত বড় নেতা।”

আরও পড়ুন: খেতে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নব কলেবরে সেজে উঠছে কাঁটাতার পেরিয়ে আসা বিশ্বাস-বাড়ি

যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে, ততই শাসক-বিরোধী একে অপরকে আরও বেশি শাণিত আক্রমণ করছে। বহিরাগত ইস্যু থেকে শুরু করে কৃষক আন্দোলন- এদিন দিলীপ ঘোষ শাসকশিবিরকে সবেতেই বিঁধলেন। উল্লেখ্য, এদিনের চা চক্রে লাকি ড্র’র আয়োজন করা হয়। সেখানে বিজেপি কর্মী সমর্থক ও পথচলতি মানুষকে সিএফএল আলো দেওয়া হয়।

Next Article