Kolkata Drug Smuggling: দুধ সাদা গাড়ির জানলার কাচ নামাতেই রঙিন দুনিয়ার পর্দাফাঁস, বর্ষবরণের আগে পাব-নাইট ক্লাবে আসর জমাত ওঁরাই
Kolkata Drug Sumggling Case: জেরায় তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সামনে ২৫ ডিসেম্বর, তারপর থার্টি ফার্স্ট নাইট!
কলকাতা: ব্রিজের ওপর দিয়ে সবে দুধ সাদা এসইউভি গাড়িটা নেমেছে। গতি ছিল স্বাভাবিক। আর ঠিক তার পিছনেই একটি সুমো গাড়ি ছিল। দুধ সাদা গাড়িটিকে সেই গাড়ি ফলো করছিল আগে থেকেই। ব্রিজ থেকে নামতেই সুমো ক্রস করে গেল এসইউভি গাড়িকে। তা থেকে নেমে এলেন তদন্তকারীরা। এসইউভি গাড়ির যাত্রীরা তখনও ভ্যাবাচাকা। গাড়ি দরজা খুলেই প্রথমে চালককে প্রশ্ন। অসঙ্গতি থাকায় গাড়ি থেকে নামানো হয় বছর তিরিশের যুবককে। আর গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ মাদক। যার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম শামিল মল্লিক। তাঁর বাড়ি নদিয়ার পলাশিতে। বিপুল পরিমাণ মাদক-সহ ওই যুবককে গ্রেফতার করে বেঙ্গল স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্র মারফত খবর, সোমবার বিমানবন্দর থানা এলাকার যশোর রোডের শরৎ কলোনি ব্রিজের সামনে কেতাদুরস্ত গাড়িতে দুই যুবক তিন কেজি হেরোইন নিয়ে আসছিলেন। সে খবর আগে থেকেই ছিল,স্পেশাল টাস্কফোর্সের কাছে। তদন্তকারী আধিকারিকেরা আগে থেকেই ওঁত পেতে ছিলেন।
শরত্ কলোনি ব্রিজের কাছে গাড়িটি আটক করেন তদন্তকারীরা। গাড়ির পিছনের সিটে রাখা ছিল কালো প্লাস্টিকে মোড়া ৩০টি পেপার প্যাকেট। ৩০টি প্যাকেটে ১০০ গ্রাম করে হেরোইন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। গাড়িতে থাকা শামিম মল্লিককে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
জেরায় তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সামনে ২৫ ডিসেম্বর, তারপর থার্টি ফার্স্ট নাইট! বর্ষবরণের রাতে শহরে ইয়ং জেনারেশনের মধ্যে মাদক পৌঁছে দিতেই এই বিপুল পরিমাণ মাদক আনা হয়েছিল। মাদক এই কয়েকদিনে পৌঁছে দেওয়া হয় শহরের নামী হোটেল, নাইট ক্লাব, পাবগুলিতে।
বিভিন্ন পার্টিতে নিয়ন আলোতে বসত মাদক সেবনের আসর। আপাতত তদন্তকারীদের জালে নদিয়ার মাদক পাচারকারি। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে চাইছেন কার কাছে এই হেরোইন বিক্রি করার কথা ছিল? কোথা থেকে এই হেরোইন নিয়ে আসা হচ্ছিল? এর পিছনে যে কোনও বড় চক্র সক্রিয় তা নিশ্চিত তদন্তকারীরা। সেই মাথারই খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃত যুবককে বারাকপুর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেরায় বেশ কয়েকজন পাচারকারীর নাম জানিয়েছেন ওই যুবক।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই কলকাতার এক বড় মাদক চক্রের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। অসম থেকে পাচারের পথে মধ্যরাতে গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ে মাদক পাচারকারি। উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক মূল্য ছিল ২২ কোটি টাকা। বেলগাছিয়া মিল্ক কলোনির কাছে অভিযান চালিয়ে মাদক বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।
প্রথমে একটি ট্রাক আটক করা হয়। চালকের কথায় অসঙ্গতি থাকায় চলে তল্লাশি। ট্রাকের ভিতরে থাকা ব্যাটারিবাক্সের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ মাদক। উদ্ধার হয়েছে ২ কেজি হেরোইন ও প্রচুর পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেট। গোয়েন্দারা বলছেন, উদ্ধার হওয়া হেরোইনের বাজারমূল্য আনুমানিক ১০ কোটি টাকা আর ইয়াবা ট্যাবলেটের দামও প্রায় ১২ কোটি টাকার মত।
আরও পড়ুন: ‘জন্মদিনের পার্টিটাই কাল হল! ওই মেয়ে দু’টোও ছিল ওখানে’, দরজা ঠেলে মা দেখলেন ঝুলছে ছেলে