Kolkata Fire: রান্নার সময়ে ফুলকি এসে পড়েছিল তাঁবুতে, রাতের শহরে পরপর দুটো কারখানা পুড়ে ছাই
Kolkata Fire: কারখানার মধ্যে প্লাস্টিকের মত দাহ্য পদার্থ বিপুল পরিমাণে মজুত থাকায় নিমেশেই বিধ্বংসী চেহারা নেয় আগুন। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা।
কলকাতা: আবারও রাতের শহরে বিধ্বংসী আগুন। ভস্মীভূত বেহালা চণ্ডীতলার প্লাস্টিকের সরঞ্জাম তৈরির দুটি কারখানা। ৭ টি ইঞ্জিনের প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা।
বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বেহালা চণ্ডীতলার প্লাস্টিকের কন্টেনার তৈরির কারখানায় প্রথমে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর খবর দেওয়া হয় দমকলে। কারখানার পেছনে একটি কনস্ট্রাকশনের বেশ কয়েক মাস কাজ চলছিল। সেখানেই রাতের খাবারের জন্য শ্রমিকরা রান্না করার সময় অসাবধানতাবশত প্রথমে একটি তাঁবুতে আগুন লাগে। তারপর আগুন ছড়াতে থাকে ওপরে একের পর এক তাঁবুতে। পাশের প্লাস্টিকের কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
কারখানার মধ্যে প্লাস্টিকের মত দাহ্য পদার্থ বিপুল পরিমাণে মজুত থাকায় নিমেশেই বিধ্বংসী চেহারা নেয় আগুন। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছিলেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। কিন্তু পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে আরও একটি ইঞ্জিন আনা হয়। খবর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খবর দেওয়ার প্রায় ৪৫ মিনিট পরে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ইঞ্জিন। ততক্ষণে এলাকাবাসীরাই বালতির জল ঢেলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে থাকেন। ভস্মীভূত হয়ে যায় একটি প্লাস্টিকের কন্টেইনার তৈরির কারখানা। আগুনে পুড়ে ছাই হয় প্লাস্টিকের চেয়ার তৈরির কারখানাও। প্লাস্টিকের কন্টেনার তৈরির কারখানায় নাইট শিফটে কাজ করছিলেন ৫ জন কর্মী। তাঁদেরকে সুস্থ অবস্থায় ভেতর থেকে বের করে আনেন স্থানীয়রাই। এরপর দমকলের ৭টি ইঞ্জিন প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে জল ছাড়াও ব্যবহার করা হয় ।
কারখানায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখছে দমকল। তা না থাকলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দমকল আধিকারিক। অপরদিকে এই এলাকা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও ঘন জনবসতিপূর্ণ হাওয়াই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় ট্যাংরার গুদাম।