কলকাতা: ফের মমতার (CM Mamata Banerjee) সরকারকে তোপ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar)। টুইটে বিঁধলেন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে। রাজ্যে এখনও বেলাগাম হিংসা। তা দেখেও দেখছে না পুলিশ। পুরোটাই বিরোধীদের শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে। টুইটে বিস্ফোরক জগদীপ ধনখড়।
টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা যেভাবে চলছেই, মানবতাকে লজ্জা দেবে। পুলিশ কিছুই করছে না। ফলে সাহস বাড়বে। পুরোটাই বিরোধীদের শাস্তি দিতে। ”
Shared details to DGP @WBPolice. Done it on numerous occasions also @MamataOfficial.
No response from any quarter. A day of reckoning for such heinous acts of omission is inevitable
Hope good sense prevails and law and order is restored lest democracy be imperilled for ever pic.twitter.com/pIaHtniCzf
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 5, 2021
শনিবার কার্যত মধ্যরাতে টুইট করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে টুইট করেন। সেখানে তিনি একদিকে যেমন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন, তেমনি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ট্যাগ করে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও বার্তা দিতে চেয়েছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
Post poll violence @MamataOfficial continues in unabated fury that will put humanity to shame.
State apparatus @WBPolice just not moved at this plight emboldening those engaged in vandalism.
All this to ‘punish and discipline’ opponents for ‘daring’ to vote in democracy. pic.twitter.com/7a5aF5OTst
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 5, 2021
এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যপাল আবারও অভিযোগ করেছেন, ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু তা প্রতিহত করতে পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করছে না। নিজের বক্তব্যের সাপেক্ষে তিনি ভিডিয়ো ও অভিযোগপত্র তুলে ধরেছেন।
Such wanton destruction and no respite to suffering people. Time for authorities @MamataOfficial to awake to their duty as per law. pic.twitter.com/1RAq8Bz183
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 5, 2021
রাজ্যপাল ঠিক এর আগেই টুইটটি করেছিলেন কলাইকুণ্ডার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে। সেখানে অভিযোগ করেছিলেন, “গত ২৭ মে রাত ১১টা বেজে ১৬ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় একটি মেসেজ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি? খুব জরুরি’।” তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক বয়কট করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল লেখেন, “উনি আমায় ফোন করে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ওই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি সদলে ওই বৈঠক বয়কট করবেন।”
আরও পড়ুন: ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’, টিকাকরণ নীতি ঘিরে বিতর্ক থামাতেই ফের সাফাই কেন্দ্রের
তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত বার্তা এভাবে টুইট করে প্রকাশ্যে আনায় ক্ষুব্ধ হয় তৃণমূল শিবির। এদিকে, তার দুদিনের মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী বৈঠক করেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তাঁর এদিনের টুইটে আবারও মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন তিনি। তাতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও কিছুটা বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, “যে ভাষায় কথা বলছেন বিজেপি নেতারা, ঠিক সেই ভাষাতেই কথা বলছেন রাজ্যপাল। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। স্বাধীনতার পর এমন রাজ্যপাল দেখা যায়নি। প্রতিদিনই তিনি প্রচার চান। সে টুইট করেই হোক, কিংবা সাংবাদিক সম্মেলন করে। যদি প্ররোচনামূলক অশান্তি হয়ে থাকে, তিনি যেদিন থেকে এসছেন, সেদিন থেকেই প্ররোচনা জুগিয়েছেন। বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। তাঁর কিছু বলার থাকতেই পারে, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে পারতেন। এগুলো সংবিধান সম্মত নয়। রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন।”
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের বড় বড় জ্ঞানের কথা মানুষ শুনে নিয়েছেন। গাছে বেঁধে পেটানো, মানুষকে হত্যা করা- সেটা কি সংবিধানসম্মত। বিজেপিও বিপুল ভোট পেয়ে বিরোধী দল হয়ে এসেছে। কেন বিরোধীদের ওপর আক্রমণ? কেন শাসন নেই? রাজ্যপাল বলবেন না তো কে বলবেন? “