Kolkata Rains: পাঁচ ঘণ্টার বিপর্যয় কেড়ে নিল সাতটি প্রাণ! কলকাতায় জলের নীচেই ‘মৃত্যুফাঁদ’
Kolkata Rains News: বৃষ্টির মধ্য়ে ভোরবেলা সাইকেল নিয়ে নিজের কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই জলের তোড়ে সাইকেলের ভারসাম্য হারান তিনি। নিজেকে সামাল দিতে একটি বিদ্যুৎ খুঁটিতে হাত রাখেন। আর তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎ কেড়ে নিল প্রাণ।

কলকাতা: বানভাসি কলকাতায় শুধুই অঘটন। ৫ ঘণ্টার বিপর্যয় কেড়ে নিল সাতটি প্রাণ। খোলা তারেই নিহত পথচারিরা। মঙ্গলবার ভোররাত থেকে টানা বৃষ্টি যার জেরে একেবারে জলমগ্ন হয়েছে কলকাতা। কোমর অবধি জলে ডুবেছে মহানগরের একের পর এক রাস্তা। আর সেই জলে ডোবা রাস্তাতেই যেন পাতা ছিল মৃত্যুফাঁদ। প্রাণ কেড়ে নিল একের পর এক।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে নেতাজিনগরে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি একজন ফল বিক্রেতা। বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ঠ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বৃষ্টির মধ্য়ে ভোরবেলা সাইকেল নিয়ে নিজের কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই জলের তোড়ে সাইকেলের ভারসাম্য হারান তিনি। নিজেকে সামাল দিতে একটি বিদ্যুৎ খুঁটিতে হাত রাখেন। আর তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎ কেড়ে নিল প্রাণ।
ডুবেছে কলকাতা
#WATCH | Kolkata, West Bengal | Heavy rain causes waterlogging in several parts of Kolkata
(Visuals from Jadavpur and Baghajatin areas) pic.twitter.com/M916A1dRwR
— ANI (@ANI) September 23, 2025
এরপরের ঘটনাটি ঘটে বেনিয়াপুকুর ও একবালপুরে। সেখানে খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। বেনিয়াপুকুরে একটি নামী মিষ্টির দোকানের সামনে থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। এই দুই জায়গার পাশাপাশি, মৃত্যু হয়েছে আরও এক ব্যক্তিরও। বালীগঞ্জের ফুটপাথ থেকেই তার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল বেলা স্থানীয় কয়েক জন ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন, তারপর খবর দেওয়া পুলিশ। তারা এসে দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ওই ব্যক্তির প্রাণ গিয়েছে। এই কয়েকটি মর্মান্তিক ঘটনা যখন উদ্বেগ তৈরি করেছে মানুষের মনে। তখনই পুলিশ সূত্রে মেলে আরও তিনটি প্রাণহানির খবর।
জানা যায়, হরিদেবপুর কবরডাঙ্গায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। সকাল বেলা কাজে গিয়েই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই কবরডাঙ্গার স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে কারখানায় গিয়ে শাটার তোলার পর বিদ্যুৎ মিটার চালু করতেই তৎক্ষণাৎই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এছাড়াও বেহালা ও গড়িয়াহাটেও প্রাণ গিয়েছে ২ জনের।
