উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ স্পষ্ট জানিীয়ে দিল, মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া করতে হবে।
কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের যে টেট নিয়োগ শুরু হয়, সেই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া করতে হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশে রাজ্য সরকার জোর ধাক্কা খেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “টেট বা উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে আমি বলতে পারব না। এটা বিচারাধীন বিষয়।”
২০১১ ও ২০১৫ সালে টেট-এ ১৪,৩৩৯ শুন্যপদে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কিশোর সরকার সহ মোট কুড়ি হাজার প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। দেখা যায়, টেটের মেধা তালিকার শুরুতে যাদের নাম রয়েছে, তাদের নিয়োগ না করে মেধা তালিকার শেষে যারা আছে, তাঁদের বেশি নম্বর দিয়ে ডাকা হচ্ছে। পরীক্ষার ফল ও মানপত্র যাচাইয়ের জন্যও সবাইকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ।
মামলা চলাকালীন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানতে চান, যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তারা কত নম্বর পেয়েছেন। সেই নম্বর প্রকাশ পাওয়ার পরেই দুর্নীতি সামনে আসে। আজ তিনি জানিয়ে দেন, ২০১৬ সালের টেট নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হচ্ছে। তিনি নির্দেশে জানান, ২০২০ সালেও নিয়োগ শেষ হয়নি। আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, ১০ মে-র মধ্যে যাবতীয় ইন্টারভিউ নিতে হবে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। যাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ গিয়েছিল, তাঁদের সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। প্রয়োজনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেও হতে পারে নিয়োগ।
এক মামলাকারী নুরুজ্জামান বলেন,” নিয়োগ প্রক্রিয়া যে অসচ্ছ ছিল, তা নিয়োগ বাতিলেই কার্যত প্রমানিত হল। ” অন্যদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, এই রায়ে প্রমাণিত হল যে নতুন নিযুক্তরা দুর্নীতির মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিকে স্থান পাবেন না।
আরও পড়ুন: হিম্মত-ই সম্বল! নাবালিকার বিয়ে রুখল বন্ধুরাই