আচমকাই বিকট শব্দ শুনে ঘুম ভাঙে, রাতের ট্রেনে কলকাতার চিকিত্সকের সঙ্গে বিভৎস ঘটনা!
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার স্বাক্ষী থাকলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের প্রধান মোনালিসা মজুমদার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রাতের ট্রেনে কী এমন ঘটেছিল, যার জন্য এই পরিণতি?
কলকাতা: করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন। আচমকাই বদলির নির্দেশ আসায় যেতে হয়েছিল নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে। ফেরার সময় মধ্যরাতের ট্রেনে দুর্বিষক ঘটনার শিকার হলেন মহিলা চিকিত্সক। চলন্ত পদাতিক এক্সপ্রেসে (Padatik Express) চিকিত্সকের ওপর চবলে লাথি, ঘুষি। করা হয় গালিগালাজও। বাকিদের চেষ্টায় কোনওক্রমে রক্ষা পান তিনি। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার স্বাক্ষী থাকলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের প্রধান মোনালিসা মজুমদার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রাতের ট্রেনে কী এমন ঘটেছিল, যার জন্য এই পরিণতি?
চিকিত্সক জানিয়েছেন, তিনি রাতে পদাতিক এক্সপ্রেসে ওঠেন। লোয়ার বার্থে ছিল তাঁর সিট। তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আচমকাই বিকট আওয়াজ শুনে ঘুম থেকে উঠে পড়েন তিনি। ততক্ষণে তাঁর সহযাত্রীও উঠে পড়েছেন। ট্রেনের লাইট জ্বলতেই আপার বার্থ থেকে এক ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় নেমে আসেন।
অভিযোগ, চিকিত্সক তাঁকে ‘কী হয়েছে? চেঁচাচ্ছেন কেন?’ প্রশ্ন করতেই তেড়ে আসেন ওই ব্যক্তি। চিকিত্সককে প্রথমে ঘুষি, তারপর লাথি মারেন। অতর্কিত এই হামলায় রীতিমত আতঙ্কিত ও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সহযাত্রীদের চেষ্টা কোনওক্রমে রক্ষা পান। খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন ওই চিকিত্সক। কিন্তু কেন ওই ব্যক্তি এমন আচরণ করলেন, তাও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে ওঝার দ্বারস্থ মহিলা, শিশুর সামনেই মায়ের সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঘটনা!
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। রেল পুলিসে একটি অভিযোগও দায়ের করেন। পরে জানা যায়, অভিযুক্তও পুলিসে কর্মরত। কীভাবে একজন মদ্যপ অবস্থায় ট্রেনে উঠতে পারেন, কেন ট্রেনের ওই কামরাতেই কোনও আরপিএফ ছিলেন না, প্রশ্ন তুলেছেন চিকিত্সক। রেল পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।