কলকাতা: টানা জেরায় ভেঙে পড়ল দারোয়ান। খুনের কথা কবুল করল সে। জোড়াবাগান কাণ্ডে রহস্য ভেদ করল পুলিশ। জোড়াবাগানের খুনের ঘটনায় (Jorabagan Child Murder Case) কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট চাইল শিশু সুরক্ষা কমিশন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ফরেনসিক রিপোর্ট-সহ বিস্তারিত তথ্য জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
রাম ওরফে লম্বু- ঝাড়খণ্ডের এই যুূবক দীর্ঘদিন ধরেই জোড়াবাগানের বৈষ্ণব শেঠ স্ট্রিটের ওই বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করেছে। তার পরিবার ঝাড়খণ্ডেই থাকে। পুলিশের খাতায় আগে কখনও নাম ছিল না তার। এলাকায় শান্ত স্বভাবের লোক বলেই পরিচিত ছিল। কোনও গণ্ডগোলের মধ্যেই ছিল না। তাই বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শিশুটিকে যখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, এলাকাবাসীর কখন সন্দেহ হয়নি লম্বুর ওপর।
কিন্তু পুলিশ যখন লম্বুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন তার কথায় উঠে আসে একাধিক অসঙ্গতি। তখনই সন্দেহ হয় দুঁদে পুলিশ কর্তাদের। জেরায় লম্বু স্বীকার করে, পরশু রাতে নিজের ঘরে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখেছিল সে। দেশি মদের সঙ্গে খাচ্ছিল বিরিয়ানি ও চিপস।
সেই সময় ন’বছরের ওই মেয়েটি খেলতে খেলতে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। মেয়েটিকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ঘরের ভেতর নিয়ে যায় দারোয়ান। মাদক মেশানো খাবার খাওয়ানোয় অচৈতন্য হয়ে পড়ে শিশুটি। তারপর চলে নির্যাতন। শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে লম্বু। রাত বাড়তেই ছাদের সিঁড়ির কাছে গিয়ে ফেলে দেয় দেহ। এরপর ফের নিজের ঘরে এসে বাকি বিরিয়ানি খায়, মদ খায়। রোজকার মতোই পাম্প চালায়। রাস্তায় ঘুরতে বেরোয়।
আরও পড়ুন: জোড়াবাগান কাণ্ড: ছুরি এমনভাবে চালানো হয় শিশুর গলার নলির সঙ্গে ক্ষত তৈরি হয় শিরদাঁড়াতেও!
আবার ভোরের দিকে নিজের ঘরে ঘুমোতে আসে। এরপর সকালে রিতা নামের এক পরিচারিকা কাপড় জামা ছাদে শুকোতে দিতে ওঠার সময়ে শিশুটিকে সিঁড়িতে পড়ে থাকতে দেখেন। লম্বুকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।