কলকাতা: ভুয়ো টিকার চক্রী দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) প্রতিটি কথাতেই অসঙ্গতি। জেরায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলকাতার পুরসভার (Kolkata Municpal Corporation) জাল অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্তকারীদের হাতে (Kasba False Vaccination Camp)।
তদন্তে জানা যাচ্ছে, দেবাঞ্জন দেব কলকাতার দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে ছিলেন। একটা পুরসভার নাম দিয়ে। আর সেই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে পুরসভার নগর পরিকল্পনা বিভাগের দুজন শীর্ষ কর্তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে পুরসভার কাছে এই খবর আসে। ওই দু’জন শীর্ষকর্তা সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এরপর কলকাতা পুরসভার নগর পরিকল্পনা বিভাগের ডিজি বিশ্বজিৎ মজুমদার স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত শুরু করেন। তিনি খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখেন যে দুজন আধিকারিকের নাম বলা হয়েছে, তাঁদের বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই ওই বিভাগে।
অর্থাৎ যাঁদের আদতে অস্বিত্বই নেই, তাঁদের নামে ভুয়ো আইডি কার্ড বের করে বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এমনকি ওই ব্যাঙ্কে প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে পুর প্রশাসনিক কর্তাদের। গোটা বিষয়টি জানানো হয় কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এবং বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরীকে। একটি রিপোর্ট করা হয়।
খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, আরবান ডেভলপমেন্ট নামে কলকাতা পুরসভার ব্যানারে একটি এনজিও খুলেছিলেন দেবাঞ্জন। পুরসভার নগর পরিকল্পনা বিভাগের অধীনে আরবান ডেভলপমেন্টের যাবতীয় কাজ হয়। সে সম্পর্কে রীতিমতো জানতেন দেবাঞ্জন।
তদন্তকারীরা মনে করছে, ব্যাঙ্কে এত বড় জালিয়াতি করার ক্ষেত্রে দেবাঞ্জনের সঙ্গে ওই শাখারই কোন কর্মীর যোগসাজশ রয়েছে। কলকাতা পুরসভার ও নীচু স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যথেষ্ট যোগসাজশ রয়েছে বলে, এত সহজে তিনি ব্যাঙ্কে পুরসভার নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলেন। অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে সেই আধিকারিক বা আবেদনকারীকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয় ব্যাঙ্কে। কিন্তু যাঁদের অস্তিত্বই নেই, তাঁদের নামে কীভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।