কলকাতা: টিকা জালিয়াতি কাণ্ডে (Kasba Vaccination Fraud Case) ইতিমধ্যেই গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেব। কিন্তু বছর আঠাশের এই দেবাঞ্জনকে ঘিরে রয়েছে পরতে পরতে রহস্য। টিকা জালিয়াতের বিরুদ্ধে রয়েছে নয়া অভিযোগও। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। ইতিমধ্যেই তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একাধিক যুবক-যুবতীর থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও নেন দেবাঞ্জন।
অভিযুক্তদের বক্তব্য, “কলকাতা পুরসভার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি করে দেওয়া হবে বলেছিলেন। সেই মতো পরীক্ষাও হয়। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনও খবর নেই। কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়া হয়েছিল। তা দেওয়াও হয়। কিন্তু এই ঘটনার পর গোটা বিষয়টিই এখন পরিষ্কার।”
পুরসভার যুগ্ম কমিশনার সেজে স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোভিডের টিকা জোগাড়ের চেষ্টাও করেছিলেন দেবাঞ্জন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এমনটা জানতে পেরেছে। তাঁর আসল উদ্দেশ্য কী ছিল, জেরায় তা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
কসবার ভুয়ো টিকাকরণ ক্যাম্পের মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জনের ভুয়ো পরিচয়ের বিষয়টি গত ১৩ জুন পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের নজরে আসে। এরপর এফআইআর দায়ের হলেও এক সপ্তাহ দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাংসদ মিমি চক্রবর্তী সেখানে টিকা নিয়ে সন্দেহ হওয়ার পরই পুরো জালিয়াতির পর্দাফাঁস হয়।
আরও পড়ুন: কসবার সেই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে টিকা নিয়েই খটকা লেগেছিল মিমির! পাকড়াও ‘আইএএস’
কসবা কাণ্ডের মূল পাণ্ডা হিসাবে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে তাঁর নাম। তাঁর কীর্তি কলাপের কথা শুনে চোখ কপালে উঠেছে দুঁদে তদন্তকারীদেরও। দেবাঞ্জন কে? কেনই বা নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প চালাতে গেলেন তিনি? এই ব্যক্তিকে ঘিরে জটিল ধাঁধা।