কলকাতা: রাত তখন ৩.৩০ মিনিট। আচমকাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় মদন মিত্রের (Madan Mitra)। ভোট ৩.৪০ মিনিট নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএমের (SSKM) উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয় মদন মিত্রকে। উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর রুমে রয়েছেন তিনি। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovan Chatterjee )রাখা হয়েছে ১০৫ নম্বর রুমে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মদন মিত্রের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে অক্সিজেন দিতে হয়। একই সমস্যা দেখা যায় শোভনের ক্ষেত্রেও। ভোর ৫টা ১৫ নাগাদ একবার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের দরজায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। অপরদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএম উডর্বান ওয়ার্ডে আনা হলেও, আবারও এখান থেকে নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ‘এত গরম! আপনারা চাইলে আমি এসি লাগিয়ে দিতে পারি’, নিজাম প্যালেসে ‘মমতাময়ী’ মুখ্যমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ সোমবার রাতে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আদেশ খারিজ করে দেন। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত তাঁরা কেউ ছাড়া পাচ্ছেন না। যেহেতু সিবিআই তাঁদের জেল হেফাজত চেয়েছিল, তাই এই ক্ষেত্রে এই ৪ রাজনীতিককে জেল হেফাজতেই রাখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁরা আদৌ জামিন পাবেন কি না সেটা আগামী বুধবারের আগে কোনও ভাবেই পরিষ্কার হচ্ছে না।