Kolkata Metro: পুজোর ভিড়ে গতবারকে টেক্কা দিল মেট্রো, কী বলছে তথ্য?

Kolkata Metro: মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, প্রত্যেক বছরের মতো এবারও কলকাতা ও তার আশপাশে এই পুজোর দিনগুলিতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ করেছে মেট্রো। ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে যাত্রীদের কাছে সবচেয়ে সুবিধাজনক ছিল মেট্রো।

Kolkata Metro: পুজোর ভিড়ে গতবারকে টেক্কা দিল মেট্রো, কী বলছে তথ্য?
ফাইল ফোটো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2024 | 3:36 AM

কলকাতা: দ্রুত ও নির্ঝঞ্ঝাটে গন্তব্যস্থানে পৌঁছতে অন্যতম ভরসা মেট্রো। পুজোর সময় রাস্তায় যানজট এড়াতে বেশিরভাগ যাত্রীর প্রথম পছন্দ মেট্রো। সেই মেট্রোই পুজোর ভিড়ে ছাড়িয়ে গেল গতবারের সংখ্যা। এবার চতুর্থী থেকে দশমী পর্যন্ত মেট্রোয় চড়েছেন ৫০ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ। যা গতবারের থেকে ১.৭৭ শতাংশ বেশি।

মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, এই সাড়ে ৫০ লক্ষ যাত্রীর মধ্যে ব্লু লাইনে যাত্রীর সংখ্যা ৪৪ লক্ষ ১৯ হাজার। সেখানে গ্রিন লাইন-১ এ যাত্রীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৩ হাজার। আর এই ছয় দিনে গ্রিন লাইন-২ এ চড়েছেন ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার যাত্রী।

কৌশিক মিত্র বলেন, প্রত্যেক বছরের মতো এবারও কলকাতা ও তার আশপাশে এই পুজোর দিনগুলিতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ করেছে মেট্রো। ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে যাত্রীদের কাছে সবচেয়ে সুবিধাজনক ছিল মেট্রো।

এই খবরটিও পড়ুন

চতুর্থী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি যাত্রী উঠেছে দমদম স্টেশনে। এই স্টেশনে ৬ দিনে যাত্রী উঠেছে ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার। তারপরই রয়েছে কালীঘাট। এই স্টেশনে যাত্রী উঠেছে ৩ লক্ষ ৬১ হাজার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে শোভাবাজার-সুতানুটি। এই মেট্রো স্টেশন থেকে যাত্রী উঠেছে ৩ লক্ষ ১১ হাজার।

গ্রিন লাইন-১ এ সবচেয়ে বেশি যাত্রী হয়েছে শিয়ালদায়। এই মেট্রো স্টেশনে প্রায় ১ লক্ষ যাত্রী হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সল্টলেক সেক্টর ফাইভে যাত্রী সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮৯৪। আর এই ৬ দিনে ফুলবাগানে যাত্রী সংখ্যা ২৬ হাজার ২৮৫।

গ্রিন লাইন-২ এ সবচেয়ে বেশি যাত্রী হয়েছে হাওড়ায়। এই মেট্রো স্টেশনে ৬ দিনে যাত্রী হয়েছে ১ লক্ষ ৯৮ হাজার। এরপর রয়েছে হাওড়া ময়দানে। যাত্রী হয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার। গ্রিন লাইন-২ এ তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহাকরণ। এই মেট্রো স্টেশনে ৬ দিনে যাত্রী হয়েছে ৩৩ হাজার ৬৫৩। পরিষেবায় যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য মেট্রোর কর্মীরা সবসময় সজাগ ছিলেন বলে জানান মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।