
কলকাতা: মেট্রোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি আঁটসাঁট? দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে সহপাঠীকে ছুরি দিয়ে এক ছাত্র কুপিয়ে খুন করার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রোয় নিরাপত্তার জন্য মাত্র ১০০ জন আরপিএফ জওয়ান মোতায়েন রয়েছেন। এই তথ্য সামনে আসার পর অনেকেই মেট্রোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই আবহে মেট্রোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বড় পদক্ষেপ করল কলকাতা মেট্রো। কী সিদ্ধান্ত নিল তারা?
কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১০০ জন আরপিএফ জওয়ানের জায়গায় এবার দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রোর নিরাপত্তার দায়িত্বে আরও ৮০০ জন জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি স্টেশনে প্রবেশদ্বারে মেটাল ডিটেক্টর, লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানো হবে।
শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে এক ছাত্রকে ছুরি দিয়ে গলায় কোপ মেরে খুনের অভিযোগ ওঠে সহপাঠীর বিরুদ্ধে। টিকিট কাউন্টারের সামনে দুই দল ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। সেইসময়ই এক ছাত্র ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে সহপাঠীর গলায় চালিয়ে দেয়। সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে আক্রান্ত পড়ুয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ওইদিন রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে অভিযুক্ত পড়ুয়াকে দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।
এই ঘটনায় মেট্রো স্টেশনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ব্যাগে ছুরি নিয়ে গেলেও কেন তা মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়ল না, সেই প্রশ্ন ওঠে। মেট্রো স্টেশনে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানান যাত্রীরা। দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের ঘটনার পর অনেক যাত্রী বলেন, “মনে তো একটা আতঙ্ক আছে। কাল ওর সঙ্গে হয়েছে। আজ তো আমার সঙ্গেও হতে পারে। পরশু অন্য একজনের সঙ্গে হতে পারে। নিরাপত্তা আরও বাড়ানো উচিত।” রীতিমতো সমালোচনার মুখে পড়ে এবার নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা মেট্রো।