RG Kar Protest: টি-শার্টে লেখা শিরদাঁড়া বিক্রি নেই, কলকাতা পুলিশের হাতে ‘আটক’ কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক
RG Kar Protest: তপোব্রতকে আটকের খবর চাউর হতেই ময়দান থানার সামনে জমতে থাকে ভিড়। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা ছুটে আসেন। তাঁদের সাফ দাবি, পুলিশ যতক্ষণ না তপোব্রতকে ছাড়ছে ততক্ষণ তাঁরা ওখানে থাকছেন।
কলকাতা: ফের গুরুতর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। পুজোর কার্নিভালে বুকে প্রতীকী অনশনকারী ব্যাজ পরে গিয়েছিলেন, সেই ‘অপরাধেই’ নাকি কলকাতা পুলিশের হাতে আটক কলকাতা পুলিশের এক চিকিৎসক। এমনটাই অভিযোগ আইএমএ-র। চিকিৎসক তপোব্রত রায় করে ময়দান থানার পুলিশ। প্রতিবাদে সরব হয় চিকিৎসক মহল। সূত্রের খবর, কার্নিভালে স্লোগান বা বিক্ষোভের আশঙ্কা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
এদিকে তপোব্রতকে আটকের খবর চাউর হতেই ময়দান থানার সামনে জমতে থাকে ভিড়। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা ছুটে আসেন। তাঁদের সাফ দাবি, পুলিশ যতক্ষণ না তপোব্রতকে ছাড়ছে ততক্ষণ তাঁরা ওখানে থাকছেন। কলকাতা পুরসভার এক চিকিৎসক বলছেন, “রেড রোডের কার্নিভালে কেএমসি-র অফিসিয়াল মেডিকেল টিমের তরফে তিনি ডিউটিতে ছিলেন। আড়াইটের সময় পুলিশ তাঁকে ডাকে। এদিকে তাঁর টি-শার্টে শুধু লেখা ছিল শিরদাঁড়া বিক্রি নেই। এটা তো পুরনো স্লোগান। তবে তাঁর জামাতে জাস্টিস পর আরজি কর ব্যাজ লাগানো ছিল। পেপার ট্য়াগে ছিল প্রতীকী অনশনকারী। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই আমরা জানতে পারি। ইতিমধ্যেই তাঁকে ময়দান থানায় নিয়ে চলে আসা হয়।”
এদিকে একদিকে যখন কলকাতায় চলছে পুজোর কার্নিভাল তখন অন্যদিকে চলছে প্রতিবাদীদের দ্রোহের কার্নিভাল। সেই প্রেক্ষাপটে এ ঘটনায় চিকিৎসকদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভের সঞ্চার যে হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ঘটনার প্রতিবাদে এদিনই ‘শিকল ভাঙার আওয়াজ’ কর্মসূচি পালন করল জলপাইগুড়ির চিকিৎসক ও নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা মোড়ে হয় জমায়েত। ওঠে স্লোগান।