কলকাতা: কলকাতা পুরভোটের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় তৃণমূলের দুই বিদায়ী কাউন্সিলরকে স্থান দিয়েছিল কংগ্রেস। সেই তালিকা প্রকাশের ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি জোর ধাক্কা লাগল হাতে। রবিবার ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদলে পার্থ মিত্র জানালেন তৃণমূলেই রয়েছেন। সামলে উঠতে না উঠতেই সন্ধ্যায় ফের ধাক্কা। দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একাংশ।
পুর-যুদ্ধ নাকি ঘরোয়া কোন্দল, কোন দিকে যে কংগ্রেস নজর দেবে বুঝেই উঠতে পারছে না দু’দিন ধরে। প্রথম দফায় ৬৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর রবিবার দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে কংগ্রেস। হঠাৎ তুমুল বিক্ষোভে বিধান ভবনে ফেটে পড়েন দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধান ভবনের দরজা বন্ধ করে দিতে হয় বলেও সূত্রের খবর।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, “প্রার্থী কারা হবে জেলা প্রেসিডেন্টরাই ঠিক করবেন। প্রদেশের কোনও নেতারা সেখানে হস্তক্ষেপ করবেন না। সেই মতো আমাদের দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১-এর প্রেসিডেন্ট মনোরঞ্জন হালদার। তিনি যখন প্রার্থী পাঠিয়েছেন। তা হলে সেখানে কেন আবার প্রদেশের তরফে হস্তক্ষেপ করা হল?” অভিযোগ, বিক্ষোভের আঁচে এতটাই তেতে ওঠে, কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে কোনওমতে ৩২ জনের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। এই নিয়ে পর পর দু’দিন প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে ধাক্কা খেল প্রদেশ কংগ্রেস।
প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় তৃণমূলের দুই বিদায়ী কাউন্সিলরকে রেখে চমক দিয়েছিল কংগ্রেস। রবিবার সেই চমকই হয়ে গেল চাপ। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল, সেই পার্থ মিত্র জানালেন তৃণমূলে রয়েছেন। একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, কংগ্রেস তাঁকে ভুল বুঝিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “কী হল তা উনিই ভাল বলতে পারবেন। তবে বিশ্বাস করা তো কোনও অপরাধ নয়। বিশ্বাস ভঙ্গ করাটাই অপরাধ।” তবে সব মিলিয়ে পুরভোটের যুদ্ধে নামার আগে ঘরোয়া কোন্দলেই জেরবার শতাব্দী প্রাচীন দল।
সূত্রের খবর, ১১০-১২০ টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে কংগ্রেস। এ দিকে ১৭ টি আসন ছেড়ে প্রতিটি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। তবে ১৭ টি আসন অন্য দলকে সমর্থন করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হলেও কংগ্রেসের নাম নেয়নি বাম। জোটের কথাও বলেনি তারা। বামেদের দাবি, ওই আসনগুলিতে বামেদের ফল ভালো করার সম্ভাবনা নেই, তাই সেখানে প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে বামেদের এইভাবে কোনওরকম আলাপ-আলোচনা না করেই আসন ছেড়ে দিয়েছে, তাতে মোটেই খুশি নন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সাংবাদিকদের সামনেই বলে বসেছেন, বামেদের ওই দেওয়া আসন তাঁরা চান না। যে যে আসনে নিজেদের শক্তি আছে, সেই সেই আসনে নিজের ক্ষমতাতেই জিতবে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: kolkata municipal election 2021: ভোট প্রস্তুতিতে সোমবার ব্যাক টু ব্যাক বৈঠক রাজ্য নির্বাচন কমিশনের
আরও পড়ুন: প্রতীক দিয়েও ফেরত চাইল দল, বলছে সূত্র! সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোনের টিকিটও কি বাতিল?
কলকাতা: কলকাতা পুরভোটের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় তৃণমূলের দুই বিদায়ী কাউন্সিলরকে স্থান দিয়েছিল কংগ্রেস। সেই তালিকা প্রকাশের ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি জোর ধাক্কা লাগল হাতে। রবিবার ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদলে পার্থ মিত্র জানালেন তৃণমূলেই রয়েছেন। সামলে উঠতে না উঠতেই সন্ধ্যায় ফের ধাক্কা। দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একাংশ।
পুর-যুদ্ধ নাকি ঘরোয়া কোন্দল, কোন দিকে যে কংগ্রেস নজর দেবে বুঝেই উঠতে পারছে না দু’দিন ধরে। প্রথম দফায় ৬৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর রবিবার দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে কংগ্রেস। হঠাৎ তুমুল বিক্ষোভে বিধান ভবনে ফেটে পড়েন দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধান ভবনের দরজা বন্ধ করে দিতে হয় বলেও সূত্রের খবর।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, “প্রার্থী কারা হবে জেলা প্রেসিডেন্টরাই ঠিক করবেন। প্রদেশের কোনও নেতারা সেখানে হস্তক্ষেপ করবেন না। সেই মতো আমাদের দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১-এর প্রেসিডেন্ট মনোরঞ্জন হালদার। তিনি যখন প্রার্থী পাঠিয়েছেন। তা হলে সেখানে কেন আবার প্রদেশের তরফে হস্তক্ষেপ করা হল?” অভিযোগ, বিক্ষোভের আঁচে এতটাই তেতে ওঠে, কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে কোনওমতে ৩২ জনের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। এই নিয়ে পর পর দু’দিন প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে ধাক্কা খেল প্রদেশ কংগ্রেস।
প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় তৃণমূলের দুই বিদায়ী কাউন্সিলরকে রেখে চমক দিয়েছিল কংগ্রেস। রবিবার সেই চমকই হয়ে গেল চাপ। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল, সেই পার্থ মিত্র জানালেন তৃণমূলে রয়েছেন। একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, কংগ্রেস তাঁকে ভুল বুঝিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “কী হল তা উনিই ভাল বলতে পারবেন। তবে বিশ্বাস করা তো কোনও অপরাধ নয়। বিশ্বাস ভঙ্গ করাটাই অপরাধ।” তবে সব মিলিয়ে পুরভোটের যুদ্ধে নামার আগে ঘরোয়া কোন্দলেই জেরবার শতাব্দী প্রাচীন দল।
সূত্রের খবর, ১১০-১২০ টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে কংগ্রেস। এ দিকে ১৭ টি আসন ছেড়ে প্রতিটি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। তবে ১৭ টি আসন অন্য দলকে সমর্থন করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হলেও কংগ্রেসের নাম নেয়নি বাম। জোটের কথাও বলেনি তারা। বামেদের দাবি, ওই আসনগুলিতে বামেদের ফল ভালো করার সম্ভাবনা নেই, তাই সেখানে প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে বামেদের এইভাবে কোনওরকম আলাপ-আলোচনা না করেই আসন ছেড়ে দিয়েছে, তাতে মোটেই খুশি নন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সাংবাদিকদের সামনেই বলে বসেছেন, বামেদের ওই দেওয়া আসন তাঁরা চান না। যে যে আসনে নিজেদের শক্তি আছে, সেই সেই আসনে নিজের ক্ষমতাতেই জিতবে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: kolkata municipal election 2021: ভোট প্রস্তুতিতে সোমবার ব্যাক টু ব্যাক বৈঠক রাজ্য নির্বাচন কমিশনের
আরও পড়ুন: প্রতীক দিয়েও ফেরত চাইল দল, বলছে সূত্র! সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোনের টিকিটও কি বাতিল?