কলকাতা : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা সামাল দিতে এবার বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম (Kolkata Municipal Corporation)। পেট্রোল গাড়ির পরিবর্তে বৈদ্যুতিন গাড়ির (Electric Vehicles) ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে পুরনিগম। শনিবার টক টু মেয়র কর্মসূচিতে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন,”কলকাতা পুরনিগমের জন্য বৈদ্যুতিন গাড়ির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদি বৈদ্যুতিন গাড়ি পাওয়া যায়, তাহলে পেট্রোলের জন্য যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে, সেই খরচের হাত থেকে বাঁচা যাবে। আমি অনেককে বলেছি, ইসিএলকে বলেছি। কলকাতা শহরের জন্য ইলেকট্রিক বাসও চাইছি দুই হাজারটি। কিন্তু, পাচ্ছি না। টাটার কাছে ৩০ হাজার গাড়ি অর্ডার আছে, কিন্তু ওরা ১২০০-র বেশি গাড়ি তৈরি করতে পারছে না।”
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেও সেই কথা জানিয়েছেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। মেয়র বলেন, “আমাদের পরিবহন দফতর থেকে ইসিএলকে দুই হাজার ইলেকট্রিক ভেহিকেল-এর অর্ডার দেওয়া আছে। কিন্তু আমরা অতগুলি গাড়ি পাচ্ছি না। আমাদের সব মিলিয়ে এখন ৭৫ টি গাড়ি আছে। ওরা ভাগে ভাগে গাড়ি দেবে, ১৫-২০ টি করে। এ মাসে হয়ত কিছু দেবে। বৈদ্যুতিন গাড়ির উৎপাদন ভারতে অত হচ্ছে না। লিথিয়াম ব্যাটারির অভাবে এই সমস্যা হচ্ছে। সেই জন্য ইলেকট্রিক সাইকেল পাওয়া যাচ্ছে না। কলকাতা পুরনিগমের জন্য চাওয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে আমরা এখানে পেট্রোল গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে ইলেকট্রিক গাড়ির দিকে যাব।” ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, বৈদ্যুতিন গাড়ির জন্য টেন্ডার ডাকা হলেও, সেইরকম সাপ্লায়ার পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত ভারতে লিথিয়াম ব্যাটারির অভাবের জন্যই এটা হচ্ছে বলে মত কলকাতার মেয়রের।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরনিগমের কোষাগারের অবস্থা মোটেও খুব একটা ভাল নয়। জানুয়ারি মাসেই ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, প্রায় হাজার কোটি টাকার দেনায় রয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসন। মোটের উপর পুরনিগমের আর্থিক যে চাপ রয়েছে, সেই ছবি স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে যদি বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যবহার বাড়িয়ে জ্বালানির লাগামছাড়া খরচের উপর কিছুটা লাগাম টানা যায়, সেই চেষ্টাই করছে কলকাতা পুরনিগম।
আরও পড়ুন : Behala Harassment: পড়শিদের দেখেই পেটের কাপড় টানছিল নাবালিকা, তাতেই সন্দেহ হয়… সামনে এল চাঞ্চল্যকর সত্যি
আরও পড়ুন : Education Department: রাজ্যের শিক্ষানীতির নীল নকশা তৈরি করতে বসছে বৈঠক, স্কুলশিক্ষার কমিটিতে বড়সড় বদল