Kolkata Municipal Corporation: ঠিকা প্রজার পাশে পুরসভা, বাড়ি তৈরিতে নয়া ছাড়, মিলবে লোনের সুবিধাও!

Kolkata: কলকাতায় বর্তমানে ২ হাজারের বেশি জমি ঠিকা প্রজাদের আওতায় রয়েছে। কলকাতা পুরসভায় ঠিকা জমিতে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে।

Kolkata Municipal Corporation: ঠিকা প্রজার পাশে পুরসভা, বাড়ি তৈরিতে নয়া ছাড়, মিলবে লোনের সুবিধাও!
কলকাতা পুরনিগম, ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2022 | 7:14 AM

কলকাতা: ঠিকা প্রজাদের বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে নিয়মের সরলীকরণ করে দিল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। এর ফলে, পুরসভার বিল্ডিং রুল অনুযায়ী নিজেদের বাড়ি তৈরি করতে পারবেন ঠিকা প্রজারা। এতদিন দোতলা পর্যন্ত বাড়ি তৈরি করতে পারতেন। এবার সেই সীমা উঠে যাচ্ছে। শুক্রবার পুরসভার মেয়র পারিষদদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত  মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের।

পুরসভার নয়া পদক্ষেপ

পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতায় বর্তমানে  ২০০০ একরের বেশি জমি ঠিকা আওতায় রয়েছে। এতদিন বাড়ি নির্মাণের জন্য ব্যাঙ্কের ঋণ পেতেন না ঠিকা প্রজারা। কিন্তু, এ বার থেকে আবেদন জানালে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে পুরসভাই।

কলকাতায় বর্তমানে ২ হাজারের বেশি জমি ঠিকা প্রজাদের আওতায় রয়েছে। কলকাতা পুরসভায় ঠিকা জমিতে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। যা এতদিন ঠিকা কন্ট্রোলারের কাছে ছিল। শুক্রবার সেই আবেদনপত্রগুলি নিজের হাতে নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।

বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ঠিকা প্রজাদের জন্য নিয়মের সরলীকরণ করা হলেও আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে পুরসভা।  ঠিকা প্রজাকে তাঁর অধীনস্থ ভাড়াটিয়াদের অনুমতি নিতে হবে। বাড়ি তৈরি হলে  প্রত্যেক ভাড়াটিয়াকে ওই বাড়িতে জায়গা দিতে হবে। এই অনুমতিক্রমেই কলকাতা পুরসভা এ বার থেকে ঠিকা প্রজাদের ঘর বানানোর অনুমতি দেওয়া হবে।

সরকারি পরিসংখ্যান কী বলছে?

সরকারি হিসাব বলছে, কলকাতা, আসানসোল ও হাওড়া মিলিয়ে সারা রাজ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ ঠিকা জমিতে বংশ পরম্পরায় বসবাস করেন। তাঁদেরকে বলা হয় ঠিকা প্রজা। তাঁদের অধীনে অনেক ভাড়াটিয়াও রয়েছেন। পুরনো জমিদাররা তাঁদের অধিকৃত জমিতে ঠিকা টেন্যান্ট হিসাবে কিছু মানুষকে বসবাস করতে দিয়েছিলেন। সেই জমিগুলিই হল ঠিকা জমি। ঠিকা টেন্যান্টরা আবার নিজেদের অংশে ভাড়াটিয়া বসিয়েছেন। এইভাবেই গোটা প্রক্রিয়াটি চলছে।

ঠিকা আইনে সংশোধন

১৯৮০ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার ঠিকা জমি অধিগ্রহণ করে। ঠিকা প্রজারা সামান্য টাকায় লিজ রেন্টের প্রজা হিসাবে সেখানে বসবাস করে আসছে। অর্থাৎ খাতায়কলমে জমির মালিক রাজ্য সরকার। ভোল বদলের পরও মালিকানা সরকারের হাতেই থাকবে। রাজ্য সরকার জমির লিজ শর্ত হস্তান্তর করবে মাত্র।

বছরখানেক আগেই ঠিকা প্রজাদের সুবিধার জন্য নতুন করে ঠিকা আইনে সংশোধনের পথে পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য সরকার। সংশোধনীর মাধ্যমে ঠিকা জমিতে বসবাসকারী ঠিকা প্রাজা এবং ভাড়াটিয়ার (ঠিকা আইনে ঠিকা প্রজা ও ভাড়াটিয়াকে আলাদা পরিবার হিসাবে দেখানো হয়েছে) স্বার্থ রক্ষা করেই ওই জমি সংস্কার ও উন্নয়নের কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্য।

তাই, চলতি আইনের ২ নম্বর ধারায় ‘অ্যাসাইনমেন্ট’, ‘ঠিকা অ্যাসাইনি’, ‘ঠিকা লিজি’-ইত্যাদি শব্দ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে ‘ডেভেলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট’ শব্দটিও জুড়ে দেওয়া হয়। পুরসভার মধ্যস্থতায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করতেই এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি, ঠিকা আইনে একটি নতুন ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। এই নতুন ধারায় কলকাতা ও হাওড়া পুরসভা একক অথবা যৌথ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকা জমিতে উন্নয়নের কাজ করতে পারবে।

আরও পড়ুন: Tala Bridge: মাত্র ৩ মাস! খুলছে ‘নতুন’ টালা ব্রিজ, নববর্ষে জনতাকে ‘উপহার’ মমতা-সরকারের