‘রাকেশের আমার ওপর ইন্টারেস্ট ছিল, আমাকে অন্য চোখে দেখা শুরু করে…’ বোমা ফাটালেন পামেলা
"রাকেশ সিং (Rakesh Singh) আমাকে শারীরিক হেনস্থা করেছে। আমাকে ফাঁসানো হবে আগেই জানতাম।" কোকেন কাণ্ডে (New Alipore Drug Case) একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন পামেলা গোস্বামী (Pamela Goswami)।
কলকাতা: কোকেন কাণ্ডে (New Alipore Drug Case) এ বার বোমা ফাটালেন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী (Pamela Goswami)। আদালত থেকে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে বসে চেঁচিয়ে বললেন, “রাকেশ সিং আমাকে শারীরিক হেনস্থা করেছে। আমাকে ফাঁসানো হবে আগেই জানতাম।” রাকেশ (BJP Leader Rakesh Singh) সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন পামেলা। যা মাদক কাণ্ডে সংযোজন করল নতুন অধ্যায়ের। অন্যদিকে, পামেলার পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ এ দিন ৪ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত।
কোকেন কাণ্ডে আগে থেকেই রাকেশ যোগের অভিযোগ তুলে আনছিলেন তিনি। বুধবার পামেলা অভিযোগ করেন, রাকেশ সিংই তাঁকে মাদক সরবরাহ করতেন। আজ ফের বোমা ফাটালেন তিনি। পামেলার দাবি, রাকেশ সিং ষড়যন্ত্র করে তাঁর গাড়িতে কোকেন রেখেছিলেন।
পামেলার কথায়, “আমার ক্লোজ লোকদের ও মার্ডার করিয়ে দেবে। হুমকি দিচ্ছিল। আমার রাকেশ সিংয়ের ওপর অভিযোগ। থানার ওসি অমিত শঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। সে যখন আমার ওপর টর্চার করে, তখন থানায় অভিযোগ করতে যাই। তখন থেকেই আমাকে বিভিন্ন রকমের কন্সপিরেসিতে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। না না কৈলাসজি, সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। পুলিশ ঠিক তদন্ত করছে। আমার আস্থা আছে আইনের ওপর। আমাকে ফাঁসানো হত, আগে থেকে জানতাম। আমার কাছে তথ্য আছে। ভয়েস এভিডেন্স আছে। রাজেশ লোক পাঠিয়েছিল আমার গাড়িতে মাদর রাখার জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই আমি জানি, হয় আর্মস কেস না হয় মাদক কেসে আমাকে ফাঁসানো হতে পারে। আমার ওপর রাকেশ সিংয়ের ইন্টারসেন্ট ছিল। সে আমাকে অন্য চোখে দেখতে শুরু করে। শারীরিক হেনস্থা করেছে রাকেশ।” উল্লেখ্য, আগের দিনই আদালতে দাঁড়িয়ে পামেলা অভিযোগ করেছিলেন, রাকেশ সিং তাঁর গাড়িতে মাদক রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: কোকেন কাণ্ড: প্রকাশ্যে অডিয়ো ক্লিপ, আরও প্রভাবশালীর নাম ফাঁস, পামেলা-রাকেশকে মুখোমুখি জেরা
তদন্তকারীদের হাতে এসেছে একটি অডিয়ো ক্লিপ, তাতে শোনা গিয়েছে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম। বুধবার রাতে সেই ক্লিপ চালিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিজেপি নেতা রাকেশ সিং ও বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে। তাঁদের দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন লালবাজারের নার্কোটিক্স সেলের গোয়েন্দারা।