প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: ফুল বদলানো মুকুল রায়ের বিধানসভার অধিবেশন কক্ষের আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা রয়েছে। আর যা আলোচনায় নেই, তা হল বাকি বিধায়কদের আসন বিন্যাস। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনের জন্য আসন বিন্যাস নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম বুধবার সন্ধ্যায় বিধানসভা
কর্তৃপক্ষ শেষ করেছেন বলে সূত্রের দাবি।
আগামিকাল, শুক্রবার থেকে শুরু হবে সপ্তদশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। কার্য উপদেষ্টা কমিটির আলোচনা অনুসারে স্থির হয়েছে, ওইদিন দুপুর ২টা রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে অধিবেশনের সূচনা হবে। তার পরে ওই ভাষণের পরে ধন্যবাদজ্ঞাপন। তার অব্যবহিত পরে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন।
ডেপুটি স্পিকার হতে চলেছেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না বিজেপি। এ কথা জানিয়েছেন দলের বিধানসভার সচেতক মনোজ টিগ্গা। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আশিস ডেপুটি স্পিকার হবেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। আর তা ধ্বনি ভোটে হতে চলেছে বলে মত তাঁদের।
অন্য পাঁচটা স্বাভাবিক সময়ের মতো নয় বর্তমান পরিস্থিতি। রয়েছে কোভিড। আর তা মান্যতা দিয়েই অধিবেশন কক্ষের আসন বিন্যাস করতে হয়েছে বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে। সে কারণে গভর্নর্স
গ্যালারিতে বসবেন বিধায়করা। তবে শুধুমাত্র সেখানেই নয়। বিধানসভায় আসা দর্শক (ভিজিটার্স) জন্য বরাদ্দ দোতলাতে বসতে হবে বিধায়কদের। সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত থাকা স্থানেও দেখা যাবে বিধায়কদের।
আরও পড়ুন: আজ শাহের দরজায় শুভেন্দু! কেবলই কি বিধানসভার রণনীতি নির্ধারণ নাকি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ভাই?
কেন এমন বন্দোবস্ত?
বিধানসভার আধিকারিকদের অনেকে জানাচ্ছেন, কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখে আসন বিন্যাস করা হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। সে কারণে যতটা সম্ভব দূরত্ব রেখে বিধায়কদের জন্য আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবারের অধিবেশনে ভিজিটার্স না আনার জন্য সব বিধায়ককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে সর্বদলীয় ও কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।