কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জীবনদায়ী ওষুধ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির! মুখ্যমন্ত্রী দিলেন জবাব

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জীবনদায়ী ওষুধের কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে প্রভাবশালী মহলের। নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাঝির (Nirmal Maji)। TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে ধরা পড়ে সেই বিষয়টি।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জীবনদায়ী ওষুধ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির! মুখ্যমন্ত্রী দিলেন জবাব
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 03, 2021 | 9:58 AM

কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জীবনদায়ী ওষুধের কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে প্রভাবশালী মহলের। নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির (Nirmal Maji)। TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে ধরা পড়ে সেই বিষয়টি।

TV9 বাংলার তরফে বারবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপেও পাঠানো হয়েছে অডিয়ো ক্লিপ। দেখেও উত্তর দেননি নির্মল মাঝি। ফোনও ধরেননি তিনি।

এপ্রসঙ্গে অবশ্য তদন্তের আগে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “কে একটা গিয়ে কমপ্লেন করল, তিনি নিজে ঠিক আছেন তো? সব কমপ্লেন তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যায় না। হেলথ ডিপার্টমেন্ট আছে দেখবে, মেডিক্যাল কলেজ নিজের ব্যাপারটা ভাল বোঝে দেখবে। কারোর একটা কথা শুনে এখনই একটা পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড নিতে হবে, তা হয় না। আমি পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড নেব না। আইনি পথে চলব।”

টসিলিজুমাব কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষীদের বহিষ্কার অথবা সাসপেন্ডের দাবি জানান চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত, একটি ফোনালাপের খেই ধরেই নতুন এই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের। প্যাথলজি বিভাগের স্পেসমেন এক্সামিনেশন ফর্মে সঙ্কটজনক করোনা রোগীর চিকিৎসায় টসিলিজুমাবের রিক্যুইজিশন। এক সঙ্গে ২৬ টি টিসিলিজুমাব বেহাত হয়ে গিয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজেরই এক মহিলা চিকিৎসক।

ফোনালাপে নাম উঠে আসে নির্মল মাঝিরও। দেখুন সেই কথোপকথন

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা তাই এর পিছনে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ বলছেন, এসএসকেএম-এ কুকুর ডায়ালেসিস কাণ্ডের পর এত বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা আগে ঘটেনি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছেন তাঁরা। পুরো ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জড়িয়ে রয়েছে।