কলকাতা: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্তে এ বার সিট গঠন করল লালবাজার। যেভাবে তদন্ত এগোচ্ছে, তাতে আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই ডিসি-ডিডির নেতৃত্বে এই সিট গঠন করা হয়। ইতিমধ্যেই কসবা থানার থেকে গোটা ঘটনার তদন্তভার নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে লালবাজার। এ বার গোটা ঘটনার তদন্তে তৈরি হল বিশেষ তদন্তকারী দল।
কসবা কাণ্ডে শুক্রবার আজ আরও ৪ জনকে ডেকে পাঠায় লালবাজার। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই এ দিন সিট গঠনের কথা জানানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ জুন প্রথম দেবাঞ্জনের নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। তদন্তে দেবাঞ্জন জানিয়েছে, তাঁর বাবা চাইতেন ছেলে আইএএস অফিসার হোক। সেই মতো ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দেবাঞ্জন। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। যদিও সেই সত্যতা বাবার কাছে গোপন করে যায়। সেখান থেকেই ভুয়ো আইএএস হিসেবে যাত্রা শুরু দেবাঞ্জনের।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, দেবাঞ্জনের নামে মোট ৩ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। কসবা এবং নর্থ সিটি কলেজ, এই দুই জায়গায় ক্যাম্প করে সে ভুয়ো ভ্যাসকিন দিয়েছিল। এমনকী, একটি সেকেন্ড ডিভিশন ক্রিকেট ক্লাব কেনারও পরিকল্পনা ছিল দেবাঞ্জনের। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Fake Vaccination: ছেনি-হাতুড়ি এনে ভাঙা হল তালতলার সেই ফলক, পুরসভার অনুমতি ছিল না, দাবি অতীনের
ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ থেকে সে নকল কোভিশিল্ড ইঞ্জেকশনের স্টিকার প্রিন্ট করিয়েছিল। দেবাঞ্জনের অফিসের কর্মীরাই সেই স্টিকার সাঁটানোর কাজ করে।
আরও পড়ুন: Fake Vaccination: ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে চাপ বাড়িয়ে স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দু, সিবিআই তদন্ত চাইছে বিজেপি