AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fake Vaccination: ছেনি-হাতুড়ি এনে ভাঙা হল তালতলার সেই ফলক, পুরসভার অনুমতি ছিল না, দাবি অতীনের

Fake Vaccination KMC: বিতর্কিত এই ফলক স্থাপনের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার কোনও ভূমিকা ছিল না বলেই এ দিন দাবি করেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ।

Fake Vaccination: ছেনি-হাতুড়ি এনে ভাঙা হল তালতলার সেই ফলক, পুরসভার অনুমতি ছিল না, দাবি অতীনের
অলংকরণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
| Updated on: Jun 25, 2021 | 6:21 PM
Share

কলকাতা: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে শিরোনামে উঠে এসেছে তালতলার একটি ফলক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির নীচে সেই ফলকে রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের নামের সঙ্গে ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবের নাম ছিল ‘রাজ্য সরকারের যুগ্ম সচিব’ হিসেবে। শুক্রবার বিকেলে সেই ফলকই ভেঙে ফেলা হয়। স্থানীয় ওয়ার্ড পুর কো-অর্ডিনেটরের নির্দেশের সেই ফলক ভাঙা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বিতর্কিত এই ফলক স্থাপনের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার কোনও ভূমিকা ছিল না বলেই এ দিন দাবি করেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ।

পুরসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে শুক্রবার অতীন ঘোষ জানান, পুরসভার অনুমতি নিয়ে এই মূর্তি বসানো হয়নি। ফেব্রুয়ারি মাসে যে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মূর্তি বসানো হয়েছিল, সেখানে নামাঙ্কিত কোনও নেতারাও ছিলেন না। অতীনের কথায়, “এই মূর্তি বা ফলক কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বসানো হয়নি। ফলকে যে নেতাদের নাম ছিল, তাঁরাও কেউ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকী, স্থানীয় কাউন্সিলরও আপত্তি জানিয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠান নিয়ে। সেই আপত্তিকে মান্যতা দিয়েই আমরা কেউ অনুষ্ঠানে যাইনি। কারণ, অনুষ্ঠানটি পুরসভার তরফে আয়োজন করা হয়নি।”

ফলক ভেঙে ফেলার পরের ছবি

আরও পড়ুন: Fake Vaccination: ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে চাপ বাড়িয়ে স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দু, সিবিআই তদন্ত চাইছে বিজেপি

বৃহস্পতিবারই তালতলায় প্রথম এই ফলকটি নজরে আসে। সেই ফলকে সবার উপরে নাম ছিল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ বাদেও অতীন ঘোষ, তাপস রায়ের মতো তৃণমূল নেতাদের নাম সেখানে দেখা যায়। খোদ পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের নামও ছিল ধৃত দেবাঞ্জনের নামের উপর। এই ফলকের ছবি সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসতেই কেউ বা কারা দেবাঞ্জনের নামের উপর কালি লেপে দিয়ে চলে যায়। কী ভাবে তাঁর নাম এই ফলকে এল তিনি জানেন না, এই দাবি জানিয়ে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেন চৌরঙ্গির বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনই আবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়ও।

আরও পড়ুন: ট্যাংড়ার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা কেন নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন? সরষে ফুল দেখছেন তদন্তকারীরা