CBI: সিবিআইয়ের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ, তারই মাঝে সন্দীপের দিকে হাত বাড়াল পুলিশ, তবে কি গ্রেফতারির আশঙ্কা?
CBI: বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, সন্দীপের বিরুদ্ধে রাজ্য মনে করেছে তদন্ত দরকার। তাই এই পদক্ষেপ। কিন্তু এই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা কি চারদিনেই অনুভূত হল? যদি হয় কেন আগে হল না? আরও একটি প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের মামলা রুজুকে সামনে রেখে।

কলকাতা: গত চারদিনে প্রায় ৪০ ঘণ্টা সিবিআইয়ের ঘরেই কেটেছে সন্দীপ ঘোষের। আজ মঙ্গলবার আবারও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। নানামহলে নানা গুঞ্জন। শহরের নাম করা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকলেও, ‘স্যর’-এর নামে গুচ্ছের দুর্নীতির অভিযোগ। সিবিআই যদি সেই অভিযোগের শিঁকড়ে পৌঁছতে চায় তাতে সন্দীপের চাপ হতে পারে বলেই মত একটা বড় অংশের। এরইমধ্যে নয়া মোড়। আরজি কর হাসপাতালে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা শুরু কলকাতা পুলিশের।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চলতি বছরের জুন মাসে টালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এক আইএএস আধিকারিক এই অভিযোগ করেন। প্রায় তিন মাস পর সেই অভিযোগকে সামনে রেখে সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করা হল। ‘প্রিভেনশন অব কোরাপশন’ আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যেহেতু ১ জুলাই-এর আগে টালা থানায় এক আধিকারিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই কারণেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হল, সোমবারই সন্দীপের বিরুদ্ধে এসআইটি বা সিট (SIT) গঠন করেছে রাজ্য়। আইজি প্রণব কুমারের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার সামনে এল কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপের বিষয়টি। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, সন্দীপের বিরুদ্ধে রাজ্য মনে করেছে তদন্ত দরকার। তাই এই পদক্ষেপ। কিন্তু এই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা কি চারদিনেই অনুভূত হল? যদি হয় কেন আগে হল না? আরও একটি প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের মামলা রুজুকে সামনে রেখে। সিবিআইয়ের কোনও কড়া পদক্ষেপের আগেই কি কলকাতা পুলিশ নিজেদের হেফাজে নিয়ে নিতে পারে সন্দীপ ঘোষকে?
