কলকাতা: বিজেপির মশাল মিছিল ঘিরে বিকেল গড়াতেই জায়গায় জায়গায় শুরু উত্তেজনা। ৯ অগস্ট থেকে সপ্তাহব্যাপী বিজেপির বাংলা বাঁচাও সপ্তাহ উদযাপন কর্মসূচি রয়েছে। প্রথম দিনই ছিল মশাল মিছিল। মুরলীধর সেন লেন, ভবানীপুরে এই মিছিল ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তির অভিযোগ ওঠে। বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে মিছিল বেরোতেই করোনা পরিস্থিতির কারণে তা আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। এরপরই শুরু হয় গোলমাল। বিজেপি অফিসের সামনে থেকে সাতজনকে আটক করে পুলিশ।
করোনা পরিস্থিতির কারণে মশাল মিছিলে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। বিজেপির দফতরের সামনে সে সংক্রান্ত পোস্টারও লাগানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। অভিযোগ, সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মশাল হাতে পথে নামেন বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু দলীয় দফতর থেকে বেরিয়ে গলিও পার করতে পারেননি তাঁরা। পুলিশের ব্যারিকেড তা রুখে দেয়। এরপরই রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। রয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে মশাল মিছিল এগোতে পারেনি। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি পর্যন্ত এই মিছিলের গন্তব্য হলেও শুরুর আগেই তা থেমে যায়। আটদিন ব্যাপী পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচির প্রথম দিনই ধাক্কা বিজেপি কর্মীদের।
বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ভাবতেই পারেননি এত সংখ্যক পুলিশ তাঁদের দফতর ঘিরে রেখেছে। কলকাতার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মীনাদেবী পুরোহিত বলেন, “পুলিশ যেটা করল একদমই ঠিক হল না। আমরা পার্টি অফিস থেকেই বেরোতেই পারলাম না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করতে চেয়েছিলাম। সব দলেরই আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। বিজেপিরও আছে। এতো গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে।”
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতে ভবানীপুরে বিজেপির খুব বেশি কর্মী সমর্থক এদিন জমায়েত করেননি। অল্প সংখ্যক বিজেপি কর্মীই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসেন। তবে জমায়েত দেখেই পুলিশ প্রিজন ভ্যানে বিজেপি কর্মীদের তুলতে শুরু করে। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, “আমরা রাস্তায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। টেনে হিঁচড়ে আমাদের তোলা হয়েছে।” মূলত দক্ষিণ কলকাতার যুব নেতৃত্বের উদ্যোগেই এদিন ভবানীপুর থেকে মশাল মিছিল বেরোনোর কথা ছিল।
অন্যদিকে বেহালায় বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে এদিন মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বেলে মিছিল বের করা হয়। তবে বেহালা ব্লাইন্ড স্কুলের কাছ থেকে ডায়মন্ড হারবার রোডের উপর মিছিল শুরু করে কিছুটা যাওয়ার পরই বেহালা পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। এরপর বিজেপি কর্মীরা রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ স্লোগান দিয়ে ফিরে যান। আরও পড়ুন: ‘মাসে ৭ হাজার টাকা বেতনে সংসার চলে?’, এবার SSKM-এ বিক্ষোভে চুক্তি ভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীরা