‘মাসে ৭ হাজার টাকা বেতনে সংসার চলে?’, এবার SSKM-এ বিক্ষোভে চুক্তি ভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীরা

SSKM: কিছুদিন আগেই সম কাজে সম বেতনের দাবি জানিয়ে ‘নার্সেস ইউনিটি’ বিক্ষোভে বসেছিল।

'মাসে ৭ হাজার টাকা বেতনে সংসার চলে?', এবার SSKM-এ বিক্ষোভে চুক্তি ভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীরা
ছবি সুমিত দাস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2021 | 6:07 PM

কলকাতা: সম কাজে সম বেতনের দাবিতে এবার এসএসকেএম হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন চুক্তি ভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীরা। তাঁদের দাবি, ক্রমাগত দ্রব্য মূল্য বাড়ছে। এদিকে বেতন মাত্র ৭ হাজার ৭৪৯ টাকা। বছরের পর বছর এই টাকাতেই পরিষেবা দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে স্বাস্থ্যকর্মীর মর্যাদা দেওয়া হোক। তারা এখন রাজ্য সৈনিক বোর্ড দ্বারা পরিচালিত।

এসএসকেএম হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মী। তবে রাজ্য সৈনিক বোর্ড পরিচালিত ইআরএস-এর অস্থায়ী ঠিকা কর্মী তাঁরা। তাঁদের মূলত তিনটি দাবি। এক, ‘১৮-১৯ বছরের ক্রীতদাস প্রথার অবসান’। দুই, ‘ন্যূনতম মজুরি নয়, চাই সম কাজে সম বেতন। তিন, ‘স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে স্বাস্থ্য কর্মীর মর্যাদা দিতে হবে’। তাঁদের দাবি, করোনাকালে নিজেদের দায়িত্ব থেকে এক চুলও নড়েননি তাঁরা। উল্টে সব সময় হাসপাতালে আসা যে কোনও মানুষের সমস্যা দেখে এগিয়ে গিয়েছেন। অথচ সমান কাজে সমান বেতন তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আকাশ ছোঁয়া দ্রব্যমূল্যের বাজারে ৭ হাজার টাকা বেতন দিয়ে সংসার টানতে নাকাল হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে সোমবার হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন তাঁরা।

এক বিক্ষোভকারীর কথায়, “এর আগেও আমরা একই আবেদন নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। সম কাজে সম বেতন আমাদেরও দিতে হবে। আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছি এই কঠিন সময়ে। আমরা চাই, লেবার কমিশন থেকে তুলে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীর মর্যাদা দিক সরকার। কোনও রোগীর যাতে সমস্যা না হয়, হাসপাতালের পরিষেবা যাতে অটুট থাকে সে দিক খেয়াল রেখেই আমরা কাজ করছি।”

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সম কাজে সম বেতনের দাবি জানিয়ে ‘নার্সেস ইউনিটি’ বিক্ষোভে বসেছিল। বেতন পরিকাঠামো মেনে মাইনের দাবি তুলেছিল তারা। প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভ চলে। স্বভাবতই কোভিড পরিস্থিতিতে এ ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সেই বিক্ষোভ ওঠে। এবার বিক্ষোভে বসলেন চুক্তি ভিত্তিক গ্রুপ ডি, নিরাপত্তা কর্মীরা। আরও পড়ুন: ‘আমার অলচিকিতে লেখা কবিতার বই বাচ্চাদের দিতে বলেছি, যাতে ওরা জানতে পারে’, ঝাড়গ্রামে বললেন মমতা