অসুস্থ অরূপ রায়কে দেখতে হাসপাতালে রাজীব
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে অরূপ রায়ের অবস্থা স্থিতিশীল।
কলকাতা: অসুস্থ তৃণমূল নেতা অরূপ রায়কে (Arup Roy) দেখতে হাসপাতালে গেলেন সদ্য মন্ত্রিত্বত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি অরূপ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অরূপের হার্টে একটি ব্লকেজ মিলেছে। স্টেন্ট বসানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে অরূপ রায়ের অবস্থা স্থিতিশীল।
অরূপ রায় আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়- হাওড়া জেলা তৃণমূলের দুই প্রথম সারির নেতা। অথচ হাওড়ার রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায় দুই নেতার মতবিরোধ, মনোমালিন্যের নানা বিষয়। সম্প্রতি তা আরও প্রকট হয়ে উঠেছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক মন্তব্যে।
নাম না করলেও রাজীব দুর্নীতি প্রসঙ্গে জেলাস্তরে নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তুলেছেন স্তাবকতার অভিযোগ। উঠে এসেছে ‘যত মম তত পথে’র কথাও। রাজীব নাম মুখে নেননি কারোর। তবে হাওড়ার তৃণমূলে ভাঙন রেখা স্পষ্ট হয়েছে দিনের পর দিন। লক্ষ্মীরতন শুক্লার ইস্তফার পর ঠান্ডা লড়াই উষ্ণ হয়ে ওঠে আরও।
রাজীব যখন মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন অরূপ রায়ের এক্কেবারে নিস্পৃহ প্রতিক্রিয়া আরও বেশি করে নাড়িয়ে দেয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। অরূপকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “দল কত দিন ধরে করেছে? আমরা বহু আগে থেকে দল করছি। কেউ কেউ দলে নতুন যোগ দিয়ে, কাজ করার পরই যদি নানারকম বায়না, নালিশ করেন, তাহলে মুশকিল। যা হওয়ার তাই হয়েছে। এতে দলের কোনও ক্ষতি নেই। দল ঐক্যবদ্ধই রয়েছে।”
রাজীব অবশ্য স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই নিশ্চুপ ছিলেন। রাজনীতির কুশীলবরা বলেন, হাওড়া জেলা তৃণমূল আড়াআড়িভাবে দুই শিবিরে বিভক্ত। রাজীব অনুগামীদের নানান বক্তব্য, দাবিদাওয়া পোস্টার-ব্যানারে সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে এসেছে। সে অর্থে অরূপ অনুগামীরাই নিস্পৃহ।
আরও পড়ুন: মামলা করতে হবে বাংলা থেকেই, খারিজ করে বিজেপিকে পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের
রাজীব ক্যাম্পে বৈশালী ডালমিয়া নিয়ে এখন সরগরম রাজনীতি। কিন্তু অসুস্থ অরূপকে দেখতে এসবের ঊর্ধ্বে রাজীব। অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে গেলেন হাসপাতালে। দেখা হল দুই সতীর্থের , হল সৌজন্য বিনিময়। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, রাজনীতিকে এসবে না মেলালেই মঙ্গল!
অরূপকে দেখে রাজীব হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বললেন, “ওঁ সুস্থ হন তাড়াতাড়ি, ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি নিজের কাজে ফিরুন।”