‘কোনওদিনই তৃণমূলের সদস্য ছিলাম না’, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন রুদ্রনীল
চার্টাড বিমানে দিল্লি যান তাঁরা। বিমান বন্দরে বৈশালী ডালমিয়ার সঙ্গে সেলফিও তুলতে দেখা যায় তাঁকে। দিল্লিতে ছবি তোলেন অমিত শাহর পাশে দাঁড়িয়েও।
কলকাতা: ‘কোনওদিনই তৃণমূল দলের সদস্য ছিলাম না।’ বিজেপিতে যোগদানের পর বললেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।
তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূল দলের রাজনৈতিক সদস্য ছিলাম না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে অভিভূত হই। পরবর্তী সময়ে আমাকে প্রশাসনিক স্তরে বেশ কিছু দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই আমি কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম।” তাঁর আরও অভিযোগ, “পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের চাপে কাজ করতে পারছিলাম না। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরে দলের বিভিন্ন কাজ থেকে ধীরে ধীরে সরে দাঁড়িয়েছিলাম।”
উল্লেখ্য, শনিবারই দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছ থেকে বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। মূলত হাওড়ার ডুমুরজলার সভাতেই তাঁর যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু অমিত শাহ না আসতে পারায় তিনি উড়ে যান দিল্লিতে। সঙ্গে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়. বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তীরা। চার্টাড বিমানে দিল্লি যান তাঁরা। বিমান বন্দরে বৈশালী ডালমিয়ার সঙ্গে সেলফিও তুলতে দেখা যায় তাঁকে। দিল্লিতে ছবি তোলেন অমিত শাহর পাশে দাঁড়িয়েও।
২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বপদে বসানো হয়েছিল রুদ্রনীলকে। এরপর ২০১৫ সালেই রাজ্য সরকারের জনপরিষেবা অধিকার কমিশনার করা হয় রুদ্রনীলকে। তৃণমূলের একুশের জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দেখা যেত রুদ্রনীলকে। তবে ইদানীং তা আর হচ্ছিল না।
আরও পড়ুন: ভাল আছেন সৌরভ, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন আজই
টালিগঞ্জের একটি সভা থেকে যখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দলের বিরুদ্ধে স্থাবকতার অভিযোগ তুলেছিলেন, তখন ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল রুদ্রনীল ঘোষকে। তারপর একের পর এক সভায় রাজীব দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর বিজেপি যোগ জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। রুদ্রনীলের অবশ্য তাল কেটেছিল বছর দেড়েক আগেই। লোকসভা নির্বাচনের পরপরই রুদ্রনীল একাধিক মন্তব্য করেছিলেন, যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।