কী নিয়ে কথা হল রাজ্যপালের সঙ্গে? রাজভবন থেকে বেরিয়ে রহস্য বাড়ালেন সৌরভ

শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Dec 27, 2020 | 9:10 PM

তবে কী নিয়ে বৈঠক বা সাক্ষাত্, তা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। নির্দিষ্ট সময়েই রাজভবনের বাইরে তখন অত্যুত্সাহী সাংবাদিকদের ভিড়।

কী নিয়ে কথা হল রাজ্যপালের সঙ্গে? রাজভবন থেকে বেরিয়ে রহস্য বাড়ালেন সৌরভ
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: তাঁর নাম নিয়ে জল্পনা ছিলই। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত্-খবর শিরোনামে আসতেই আরও জোরাল হল তা। বৈঠক-নির্যাসের দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা বাংলা। কিন্তু রাজভবন থেকে বেরনোর পর সাংবাদিকদের একপ্রকার এড়িয়ে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)।

রবিবারই জানা যায়, রাজ্যপালের এদিন বিকালে দেখা করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যপাল তাঁকে বিকাল সাড়ে ৪টেয় সময় দিয়েছেন। রাজ্যপাল একথা নিজে টুইট করেও বলেন। তবে কী নিয়ে বৈঠক বা সাক্ষাত্, তা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। নির্দিষ্ট সময়েই রাজভবনের বাইরে তখন অত্যুত্সাহী সাংবাদিকদের ভিড়।

বিকাল ৪টে ৪০। রাতভবনে প্রবেশ করল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলে যান, “যা বলার বেরিয়ে বলব।” এরপর বৈঠক চলে ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। কিন্তু বৈঠক শেষেও সাংবাদিকদের কাছে কিছুই খোলসা করলেন না সৌরভ। বরং তাঁদের এড়িয়ে রাজভবনের ৪ নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। তবে রাজ্যপাল টুইট করে জানান, ইডেন গার্ডেনে আসার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি তা গ্রহণও করেছেন।

এবিষয়ে বলে রাখা যাক, রাজভবনে কর্তব্যরত সার্জেন্টরা কিন্তু বলছেন, সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীই ওই গেট দিয়ে ঢোকেন ও বেরোন। যদিও সাউথ গেটের মতো ৪ নম্বর গেটের কোনও লিখিত প্রোটোকল নেই। সাউথ গেট দিয়ে শুধুই প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপাল রাজভবনে ঢোকেন ও বেরোন।

 

আরও পড়ুন:  ‘রাখি কার্ড দেবেন বলেছিলেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়াচ্ছেন কেন?’ নেতার সামনেই ব্যাগড়া রাখিশিল্পীর

সূত্রের খবর ব্যক্তিগত কারণেই তিনি রাজভবনে গিয়েছেন ৷ এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়ায়। ক্ষমতায় এলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী সৌরভ হবেন কিনা, তাও গুঞ্জন ছড়ায় বঙ্গ রাজনীতিতে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, এদিন সৌরভ-ধনখড় সাক্ষাত্ সেই জল্পনাকে আরও জোরাল করল।

সপ্তাহখানেক আগে রাজ্য় সফরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, আগামী বছর নেতাজীর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী বিশেষভাবে উদযাপন করতে চলেছে সরকার। সেই দিনে বাংলার উল্লেখযোগ্য কিছু ব্যক্তিদের সম্মানিত করা হবে, এবং তার জন্য় একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করার কথাও ভাবা হচ্ছে। সৌরভের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সেই প্রসঙ্গে আলোচনা করতেই এদিন মহারাজ রাজভবনে যান। যদিও সৌরভকে সেদিক সম্মানিত করা হবে, নাকি তিনি সেই কমিটির সদস্য হবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। উভয় পক্ষ আজকের সাক্ষাৎ নিয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছে।

Next Article