কলকাতা: জেএমবি (JMB) – যোগ সন্দেহে ধৃত নাজিবুল্লার ল্যাপটপ ঘেঁটে বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছেন গোয়েন্দারা, যাদের মধ্যে কয়েকজন জেএমবি স্লিপার সেলের সদস্য। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই তথ্য উঠে এসেছে এসটিএফ কর্তাদের হাতে।
নাজিবুল্লা যে অন্য নাম দিয়ে ফেসবুকে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, তা আগেই জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। মূলত ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ‘গ্রুপ ক্রিয়েট’ করে বিভিন্ন উস্কানিমূলক প্রচার চালাত সে। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে,খাগড়াগড় কাণ্ডের পর এই নাজিবুল্লা সন্দেহের তালিকায় ছিল। সেসময় এনআইএ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তার ওপর নজর রাখা হয়েছিল। এক মাস ধরে মোবাইল ও তার সব কাজেই নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের কাশিমবাজারের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।
নাজিবুল্লার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টি ল্যাপটপ, ৩টি স্মার্টফোন, ১১টি পেনড্রাইভ। নাজিবুল্লার ল্যাপটপ ঘেঁটে যাদের নাম পাওয়া গিয়েছে, তাদের বিষয়ে তথ্য জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, পেনড্রাইভ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। নাজিবুল্লার কোনও ‘অপারেশন’এর পরিকল্পনা ছিল কিনা, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: ওয়াইন আর ভদকার সঙ্গে মধু মিশিয়ে নেশা করতেন বলি অভিনেত্রী আরিয়া! তার জেরেই কি মৃত্যু?
শুক্রবারই ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় নাজিবুল্লাকে। আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, ধৃতের কাছ থেকেই ইসলামিক স্টেটের নানা ধরনের দস্তাবেজ উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র মিলিয়ে একটি অভিন্ন মানচিত্র তৈরি করেছিল নাজিবুল্লা। নিজের তৈরি এই মানচিত্রকে ইসলামিক স্টেট বাবানোর দাবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছিল।
বীরভূমে বাড়ির অদূরেই একটি ছাপাখানা চালাত নাজিবুল্লা। প্রতিবেশীদের কথায়, সেখানেই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাত নাজিবুল্লা। কিন্তু সে যে এই জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, তা ভাবতেও পারছেন না প্রতিবেশীরা।