‘ছেলেটার কথা ভেবে সেদিন ডিভোর্স দিইনি, আজ তারই ফল…’ লোককে হাসাতে হাসাতে একা ঘরে কাঁদছেন কাঞ্চন!

কাঞ্চন বললেন, "আমি খুবই শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি সবসময়ই চেয়েছিলাম এভাবেই চলুক। ছেলেটা যাতে কোনওভাবে আহত না হয়। ছেলের মননে যেন না প্রভাব পড়ে, বাবা-মা আলাদা রয়েছেন।"

'ছেলেটার কথা ভেবে সেদিন ডিভোর্স দিইনি, আজ তারই ফল...'  লোককে হাসাতে হাসাতে একা ঘরে কাঁদছেন কাঞ্চন!
কাঞ্চন মল্লিক।
Follow Us:
| Updated on: Jun 22, 2021 | 8:51 AM

কলকাতা: অভিনেতা থেকে নেতা তিনি! আজ জনপ্রতিনিধি! লোক হাসাতে হাসাতে সেই কাঞ্চন মল্লিকই আজ একা ঘরে হাউ হাউ করে কাঁদছেন! বিধায়ক হওয়ার পরই কুৎসা রটানো হচ্ছে। TV9 বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mallick)। অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের (sreemoyee chatterjee) সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গুঞ্জন ছাড়া কিছুই নয়। দাবি উত্তরপাড়ার বিধায়কের।

কোনও হেঁয়ালি না করেই প্রশ্নটা একদম সোজাসাপটা করা হয়েছিল। এক জন রাজনীতিবিদের ওপর যখন এমন অভিযোগ আসে, সেটার অভিঘাতটা কিন্তু অনেকটাই বেশি হয়! উত্তরে কাঞ্চন বলেছেন, “দেখুন যে ধরনের নোংরা, কদর্য, কুৎসিত আরোপ আনা হচ্ছে, তা মিথ্যা। যা ঘটছে তা অত্যন্ত কুৎসিত। আমার নেত্রীকে আমি কীভাবে মুখ দেখাবো! আমি কোথাও মুখ দেখানোর জায়গা পাচ্ছি না। ওঁরা আমায় ভরসা করে একটি কেন্দ্রের বিধায়ক পদে প্রার্থী করেছেন। দলের কাছে, নেত্রীর কাছে এ ভাবে ছোট করার মানে কী?”

কাঞ্চন গল্পের ছলেই বলতে থাকেন, ২০১২ সালের ২ মার্চ বিয়ে হয়েছিল। ২০১৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সন্তান হয়। এক বছরের মধ্যেই হয়। সন্তানের বয়স যখন ২০ দিন, তখন সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী চলে যান বাপের বাড়ি, আর ফিরে আসেননি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নটা মনে আসে, এতগুলো বছর এক ছাদের তলায় না থেকেও ডিভোর্স করেননি কেন ওঁরা? কাঞ্চন বললেন, “আমি খুবই শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি সবসময়ই চেয়েছিলাম এভাবেই চলুক। ছেলেটা যাতে কোনওভাবে আহত না হয়। ছেলের মননে যেন না প্রভাব পড়ে, বাবা-মা আলাদা রয়েছেন।”

শ্রীময়ীকে নিয়ে গোটা বিষয়টিই গুঞ্জন, কোনও বাস্তবতাই নেই-  সাফ জানালেন কাঞ্চন মল্লিক।  তিনি বললেন, “মেয়েটিকে আমি যখন থেকে চিনি, তার তখন ১৫ বছর বয়স। সহকর্মী হিসাবেই কাজ করেন। নির্বাচনের সময়ে প্রচারে ছিলেন। তাঁকে নিয়ে পিঙ্কির সঙ্গে আলাপ করাই। পিঙ্কির সঙ্গে ওঁর (শ্রীময়ী) কথাও হয়। আমি কথা বলে বিষয়টি মেটাতে চেয়েছিলাম।”

কাঞ্চন বললেন, “আমি সেদিন শুধু কথা বলতে চেয়েছিলাম পিঙ্কির সঙ্গে। বলেছিলাম, ৫ মিনিট সময় দাও, কথা বলতে চাই। কিন্তু ভীষণ রকম রিঅ্যাক্ট করেন। তাঁর দাদা আমার দিকে তেড়ে আসেন। পরে যখন জিডি হয়, আমি জানতে পারি, আমি নাকি দরজা খুলে তাঁকে টেনে বার করে আনার চেষ্টা করেছি। সমস্ত আক্রমণ আমার দিকে।”

আরও পড়ুন: ভাগ্যিস শ্রীময়ীকে নিয়ে গিয়েছিলাম, একা গেলে হয়তো ৪৯৮ করে দিত: কাঞ্চন মল্লিক

কাঞ্চন করজোড়ে বলেন, “যাঁরা দেখছেন আমাকে, আমি বারবার বলব, দয়া করে এক তরফা দেখবেন না। আমি ২৫ বছর আপনাদের মনোরঞ্জনের চেষ্টা করে আসছি। মানুষকে বিচার করুন। আমার অনেক কাজ করার বাকি, কাজ করতে দিন।” এর তরফা শুনবেন না… জোড় হাতে আবেদন ‘ক্লান্ত’ কাঞ্চনের!